শাহীন খন্দকার: [২] রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, দেশে বর্তমানে প্রতিদিন যে পরিমাণ অক্সিজেনের চাহিদা রয়েছে, তার চেয়ে বেশি উৎপাদন হচ্ছে। এমনকি এই মুহূর্তে দেশে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ রয়েছে বলেও জানান তিনি। সামগ্রিকভাবে অক্সিজেন সরবরাহের কোনো সংকট নেই। যারা অক্সিজেন উৎপাদন করেন, তাদের সঙ্গে আমরা প্রতিনিয়ত বৈঠক করছি। প্রতিদিনই তাদেরকে আমরা আমাদের চাহিদা জানিয়ে দিচ্ছি। কাজেই এই মুহূর্তে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই।
[৩] ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনে কয়েকটি জেলায়, বিশেষ করে সাতক্ষীরা, খুলনা এবং বগুড়ায় করোনাভাইরাসের রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েও অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন রোগীর আত্মীয়-স্বজন। কয়েকজন রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। এ ঘটনায় আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, তদন্ত প্রতিবেদন আসবে, সেটি হাতে পেলেই আমরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব।
[৪] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, দেশে প্রতিদিন অক্সিজেনের চাহিদার চেয়েও বেশি পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে। দেশে যে পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে সে অনুপাতে চাহিদা এখনো তৈরি হয়নি। এমুর্হুতে বলা যাবে না যে দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে প্রতিদিন ১৯০ টন অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু চাহিদা তো ১৯০ টন না।
[৫] অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে গরমিল রয়েছে অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, অক্সিজেনের সিলেন্ডারগুলো যখন যেখানে ব্যবহার হয়, সেটি আবার রিফিল করার জন্য চলে যায়। তার মধ্যে আবার কিছু সংখ্যক রিজার্ভ হিসেবে জমা থাকে এবং যখন যেখানে প্রয়োজন সেটি দ্রুত সরবরাহ করা হয়। কাজেই অক্সিজেন সিলিন্ডারের যে সংখ্যাটি আছে সেটি মাঝে মধ্যে বেড়ে যায় এবং কমে যায়। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে আমাদের অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা বেড়েছে। কারণ দেশে অক্সিজেনের চাহিদাও বেড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :