রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারত, নেপালের পর বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় এই দুর্ভোগের জন্য বাংলাদেশের অনেকে ভারতকে দায়ী করছেন। টিকার জন্য শুধু ভারতের ওপর নির্ভরশীলতায় সরকারের সমালোচনা করছে অনেকে। আউটলুক
[৩] টিকার জন্যে ভারতের ওপর নির্ভর না করলে দেশের বেশির ভাগ নাগরিককে টিকাদানে সক্ষম হতো বাংলাদেশ। টিকাদান কর্মসূচি আগেভাগেই শুরু হওয়ার পর ফ্রি চীনা টিকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি ভারত থেকে টিকা আমদানি স্থগিত না হতো, তাহলে পরিস্থিতি এমন হতো না।
[৪] চীনের সিনোফার্ম টিকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার জন্য ঢাকার ওপর নয়া দিল্লির প্রচণ্ড চাপ ছিল।
[৫] ভারত টিকা রপ্তানির মতো কোনো অবস্থানে ছিল না। ঢাকা ফের চীনের মুখাপেক্ষী হয়, তখন চীন টিকার জন্য অর্থ দাবি করে বসে। চীনা টিকা বিনামূল্যে দেওয়ার কথা ছিল, তা এখন অর্থ দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
[৬] সরকারের প্রজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন করছে জনগণ। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের বড় অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে চিরদিন স্মরণ করা হবে। তার অর্থ এই নয় যে, দিল্লির সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে ঢাকাকে। সর্বোপরি, যখন মানুষের জীবন ঝুঁকিতে।
[৭] করোনা বৃদ্ধি সত্ত্বেও প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে উন্নত উপায়ে করোনা মহামারি মোকাবিলা করছে শেখ হাসিনার সরকার। ভারতে যেমন এম্বুলেন্সে অক্সিজেনের জন্য রোগী হাসফাঁস করছিলেন, তেমন ভয়াবহ দৃশ্য বাংলাদেশে ঘটেনি।
আপনার মতামত লিখুন :