শিরোনাম
◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম 

প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২১, ০১:১৯ রাত
আপডেট : ০৪ জুলাই, ২০২১, ০১:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছাগলের পিপিআর ভ্যাকসিন সঙ্কট, দুশ্চিন্তায় ভুগছেন খামারিরা

নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর পিপিআর রোগে আক্রান্ত হয়ে পটুয়াখালীতে শত শত ছাগল মারা গেলেও অদৃশ্য কারণে উদাসীন জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। বর্তমানে জেলায় ছাগলের পিপিআর ভ্যাকসিন না থাকায় দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন জেলার ছাগল খামারিরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে পিপিআর ভ্যাকসিনের সমস্যা সমাধান না হলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তাদের। ঢাকা পোস্ট

পটুয়াখালী প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিলে ২০ পিস পিপিআর ভ্যাকসিন পটুয়াখালী এসেছিল, যা ২০০০ ডোজ। প্রতিটি ভ্যাকসিনে ১০০ ছাগলকে পুশ করা যায়, যা জেলার ৮ উপজেলায় বিতরণ করে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। যা শেষ হয়ে যায় মাত্র কয়েক দিনেই। দুই মাস হলো পটুয়াখালীতে পিপিআর ভ্যাকসিন সংকট চলছে।

তবে বিভিন্ন উপজেলার ছাগল খামারিদের দাবি, দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করে তাদের ক্ষতির হাত থেকে উদ্ধার করতে হবে।

সদর উপজেলার বহালগাছিয়া এলাকার ছাগল খামারি মো. সুলতান বলেন, পিপিআর রোগটি খুব মারাত্মক রোগ। এ রোগ আমার খামার শেষ করে দিয়েছিল। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এ বিষয়ে এখনো উদাসীন। তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

সদর উপজেলার ‘জিন্দেগী খামারে’র ম্যানেজার মীর বলেন, ২০২০ সালে পিপিআর রোগে আমাদের খামারের ৩টি ছাগল মারা গেছে। এতে আমাদের যে কী লস হয়েছে বলে বোঝানো যাবে না। তিনি আরও বলেন, এ বছর পূর্বপ্রস্তুতির জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে গেলে তারা জানায়, পিপিআর ভ্যাকসিন শেষ। এখন আমরা কী করব?

মির্জাগঞ্জ কাকরাবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্বাস হোসেন বলেন, ঋণ নিয়ে ছাগল কিনেছি। ছাগল পালন করে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু ছাগলের জন্য পিপিআর ভ্যাকসিন দিতে চাইলে ডা. বলছেন, ‘আমাদের কাছে পিপিআর ভ্যাকসিন নেই। না থাকলে দেব কোথা থেকে?’ এখন দুশ্চিন্তার শেষ নেই। আল্লাহ যানে কপালে কী আছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার পশু চিকিৎসক মো. তোফায়েল হোসেন বলেন, পিপিআর একটি ছোঁয়াছে রোগ। অসুস্থ পশুর হাঁচি-কাশি, পায়খানার মাধ্যমে সুস্থ পশুর শরীরে এ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ছাড়া পানি, খাদ্যের পাত্র ও অসুস্থ প্রাণীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র দিয়েও রোগটি ছড়াতে পারে। রোগের লক্ষণ নেই, এমন প্রাণীর মাধ্যমেও পিপিআর রোগটি ছড়াতে পারে। এ জন্য সুস্থ পশুকে আক্রান্ত পশু থেকে আলাদা রাখতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, বর্তমানে জেলায় অনেকগুলো ছাগলের খামার রয়েছে। সবাই পিপিআর ভ্যাকসিন চায় কিন্তু দিতে পারছি না। জেলা কর্মকর্তাকে জানালেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ১৫ হাজার ভায়োল পিপিআর ভ্যাকসিন শেষ হবে মাত্র এক ঘণ্টায়। কিন্তু আমরা এ বিষয়ে জেলার কর্মকর্তাদের বোঝালেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনোয়ার হোসেন বললেন ভিন্ন কথা। মুঠোফোনে তিনি বলেন, আমাদের পিপিআর ভ্যাকসিন শেষ হয়েছে, তা কে বলল? ভ্যাকসিন রয়েছে পর্যাপ্ত। তিনি আরও বলেন, যদি শেষ হয়, তবে সেটা আনব। এ বিষয়ে কিছু লেখার দরকার নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়