লিহান লিমা: [২] সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের নতুন যে ধরনগুলো হচ্ছে তার একমাত্র উৎস হলো আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ।
[৩] ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিভাগের অধ্যাপক ড উইলিয়াম শ্যাফলার বলেন, ‘টিকা গ্রহণ না করা ব্যক্তিরা অন্যদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ। তারা ভাইরাসের ভিন্ন ভিন্ন ধরণের সম্ভাব্য কারখানা। যেখানে যত বেশি টিকা না গ্রহণকারী ব্যক্তি থাকবে সেখানে তত বেশি ভাইরাসের ধরন বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। ভাইরাস মানুষের শরীর থেকে শরীরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হতে হতে আরো মারাত্মক রুপান্তর ঘটায়।’
[৪] সব ভাইরাসই রুপান্তরিত হয়। তবে করোনা ভাইরাস শুধু রুপান্তরিত হয়েই ক্ষান্ত থাকে না এটি আরো পরিবর্তিত হয় ও বিকশিত হয়। সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে আরেকজনে যখন এটি ছড়ায় এর পরিবর্তিত রুপটিই ছড়ায় এবং ক্রমে এই রুপান্তর একটি ভাইরাসের ধরনে পরিণত হয়।
[৫] জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের অণুজীব ও প্রতিরোধক বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রু পেকোস বলেন, ‘রুপান্তরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আরো সহজ হয়। ভাইরাস প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয় এবং ভিন্ন শরীর তাকে আরো পরিবর্তিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়। যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে না সেগুলো পরিবর্তিত হতে পারে না।’
[৬] বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনার পরিবর্তিত রুপ আলফা, বেটা, ডেল্টা, এপসিলন, ইটা ও গামা দেখা গিয়েছে। এগুলো করোনার মূল ধরণ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও একেকটির থেকে একেকটি অনেক শক্তিশালী এবং সংক্রমক।
[৭] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলেছে, আমরা ভাইরাসকে যত বেশি ছড়াতে দেবো এর পরিবর্তিত হওয়ার সুযোগ তত বাড়বে। ভাইরাস যখন টিকা গ্রহণ করা কোনো প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে আক্রান্ত করার চেষ্টা করে তখন এটি ব্যর্থ হয় কিংবা সফল হলেও হালকা সংক্রমণ ঘটায়।