লিহান লিমা: [২] শনিবার ছিলো মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লিয়াংয়ের জন্মদিন। এদিন পাঁচমাসব্যাপী চলমান সেনা অভ্যূত্থান বিরোধী বিক্ষোভকারীরা তার ছবি ও প্রতিকী কফিন পোড়ান। রয়টার্স
[৩] মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলের মন প্রদেশের থিয়েনজায়েত শহরের বিক্ষোভকারীরা তার কফিন পুড়িয়ে সেখানে বার্তা লিখে দেন ‘তোমার আত্মা কখনোই শান্তিতে থাকবে না’, ‘তোমার জন্মদিন ও মৃত্যুদিন যেনো একই দিনে হয়’। মিয়ানমারের অন্যান্য শহরেও এ ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।
[৪] দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মানদালে’তে এক বিক্ষোভকারি বলেন, ‘আমরা এটিকে একটি অভিশাপ হিসেবে পোড়াচ্ছি’। আগুনের হলকায় ফাঁকে দেখা যাচ্ছিলো ৬৫বছরের জেনারেলের ছবির কিছুটা অংশ।
[৫] গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিসহ প্রেসিডেন্টকে বন্দি করে তাদের দল এএলডির ওপর নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনে সেনাবাহিনী। তবে অভ্যূত্থান ঘটালেও এখন পর্যন্ত দেশটিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। প্রতিদিনই দেশটির কোথাও না কোথাও বিক্ষোভ হচ্ছে, গণঅভ্যূত্থানে অচল হয়ে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি, সীমান্তঞ্চলগুলোতে প্রতিনিয়ত সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠির লড়াই হচ্ছে।
[৬] এ পর্যন্ত এই সংঘর্ষে বাস্তুহারা হয়েছেন প্রায় ২ লাখ, গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫ হাজার ২শ এবং প্রাণ হারিয়েছেন ৮৮০ জন।
[৭] যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞারোপ করেছে। তবে চীন ও রাশিয়ার ভেটোর মুখে দেশটির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।