কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] শুক্রবার মধ্যরাত ও শনিবার সকালে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন হস্তান্তরের সময় ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম জোরদার করতে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছে।
[৩] আমেরিকান জনগণের দেওয়া উপহারের ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা করার প্রতিশ্রæতির সর্বশেষ নিদর্শনমাত্র এবং এটা কেবল শুরু। আমরা আমাদের উদ্বৃত্ত সরবরাহগুলো উপহার দেওয়া অব্যাহত রাখবো।
[৪] বাংলাদেশের মহামারি মোকাবিলা যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তম দাতা দেশ উল্লেখ করে মিলার বলেন, এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি, প্রতিরক্ষা বিভাগ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং সিডিসির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ৮৪ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছে।
[৫] যুক্তরাষ্ট্র মহামারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। প্রেসিডেন্ট বাইডেন টিকার বৈশ্বিক চাহিদা পূরণে সহায়তার লক্ষ্যে ৮০ মিলিয়ন ডোজ টিকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রæতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
[৬] ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানায়, এ গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্র কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিতরণের জন্য গাভিকে ৫০০ মিলিয়ন ডোজ ফাইজার টিকা বরাদ্দ দেওয়া শুরু করবে।
[৭] যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে কোভ্যাক্সকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান কোভিড-১৯ টিকা কিনে বিশ্বের ৯২টি নি¤œ-মধ্যমআয়ের দেশের সর্বাধিক অবহেলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে।
[৮] এই সহায়তা মহামারি নিয়ন্ত্রণ, ভাইরাসের নতুন ধরন তৈরি হওয়া শ্লথ করতে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরায় চালু করতে সাহায্য করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার মতামত লিখুন :