ইমরুল শাহেদ: মুভমেন্ট বিধিনিষেধে সময় কিভাবে কাটবে জানতে চাওয়া হলে চিত্রনায়িকা কেয়া বলেন, ‘দৌড়ের উপর আছি। খুব চাপের মধ্যেও আছি। মুভমেন্টের উপর কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত কোনোরকমে কাজ শেষ করেছি। এখন কাজ একেবারেই বন্ধ। বাসায় আছি। এর মধ্যে কোথাও বের হবো না। বনলতা এবং কথা দিলাম ছবির শিডিউল ছিল।
সব বাতিল হয়ে গেছে। ঈদের নাটকের একটি পান্ডুলিপি পেয়েছি। এক ঘন্টার নাটক। সেটা মনোযোগ দিয়ে পড়ছি। এছাড়া বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হলেই তো জমে থাকা কাজগুলো শুরু হয়ে যাবে। সেগুলোর জন্য কাপড় চোপড়, যাকে আমরা কস্টিউম বলি ঠিকঠাক করে রাখছি। পাশাপাশি সবাইতো জানেনই আমার মা অসুস্থ। তার সেবা যতœ করে সময় কেটে যাবে।’
কথা প্রসঙ্গে কেয়া বলেন, ‘হাতে বেশ কিছু নতুন ছবির অফারও আছে। মুভমেন্ট বিধিনিষেধ থাকায় সেগুলো নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না।’ এর মানে হচ্ছে, কেয়া আগের মতোই আবার ব্যস্ত হতে শুরু করেছেন। হয়তো ঈদের পর থেকে তিনি আগের মতোই আলোচনায় চলে আসবেন। নির্মাতারা চান পরিচিত মুখ। যারা আলোচনায় থাকেন তাদের কথাই কাস্টিংয়ের সময় সর্বাগ্রে নির্মাতাদের মনে চলে আসেন।
একজন নির্মাতা বলেছেন, কেয়া গরীব প্রযোজকদের জন্য সহায় হতে পারেন। কারণ তার চরিত্র পছন্দ হলে আর সমস্যা হয় না। তিনি ‘কথা দিলাম’ ছবিটিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেটা অল্পতেই মিটে গেছে। এই ছবিটির আগের পরিচালক ও শিল্পীদের পরিবর্তন করা হয়েছে। সেটা নিয়ে প্রযোজক বলেছেন, সমঝোতার ভিত্তিতেই হয়েছে।
এই ছবিটির প্রযোজক দেশের বাইরে থাকেন। কেয়া বলেন, প্রযোজক এবং তার পরিবারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা দেশের বাইরে বসেই ছবিটির সাফল্য কামনা করেছেন। মুভমেন্ট নিষেধাজ্ঞা না থাকলে ছবিটির শুটিং শুরু হয়ে যেত মানিকগঞ্জে। এ ছবিতে কেয়ার বিপরীতে কাজ করছেন জামশেদ।