আমিনুল জুয়েল: [২] কভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত ৭দিনের সর্বাত্মক বিশেষ লকডাউনের তৃতীয় দিন চলছে আজ। টানা দু’দিন বৃষ্টির কারণে সবাই ছিলেন ঘরবন্দি। এদিক থেকে গতদুই দিনের লকডাউন সফল। কিন্তু তৃতীয় দিনে বগুড়ার আদমদীঘিতে ঢিমেতালের লকডাউন লক্ষ্য করা গেছে। শহরের প্রধানসড়কের দুই ধারে সারি বেঁধে ব্যাটারীচালিত রিকশা-ভ্যানের সরব উপস্থিতি জানান দেয় ঢিলেঢালা লকডাউনের।
[৩] সকাল ৮টা আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড মোড় ২০ মিনিটের মধ্যে ওই এলাকায় মানুষের ভীড় দেখা গেল। বেশিরভাগ লোকই স্বাস্থ্য সচেতন নয়। অনেকেই ব্যবহার করছে না মাস্ক। কেউ কেউ বাড়ি থেকে বাসষ্ট্যান্ডে এসে নতুন করে ফেসমাস্ক কিনছেন। বেশিরভাগ লোকেরই মাস্ক হয় থুতুনির নিচে অথবা গলায় জড়ানো। রাস্তায় শুধু ব্যাটারিচালিত ভ্যান-রিকশা চললেও যাত্রীরা মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরুত্বও মানার বালাই নেই এখানে। আবার শহরের গোড়গ্রাম রাস্তায় কয়েকটি ওয়েল্ডিং ও ফার্নিচারের দোকান খোলা রয়েছে। দোকানিরা কাজ করছেন স্বাভাবিক দিনের মতোই। বাসষ্ট্যান্ডে যথারীতি খুলেছে গরুর মাংসের দোকান। রয়েছে মানুষের বাড়তি চাপও।
[৪] শনিবার আদমদীঘি হাটের দিন। প্রশাসনের দৃষ্টি এড়াতে অনেকেই হাটের অজুহাতে সঙ্গে নিয়েছেন বাজারের ব্যাগ। যাত্রীরা সবাই এসে থামছেন বাসষ্ট্যান্ডে। সবার মধ্যেই চাপা উৎকন্ঠা। যেন অপরাধী, তবুও নেই সচেতনতা।
[৫] সদরের জিনইর গ্রামের ভ্যানচালক মোকলেস মিয়া জানান, গত দু’দিন বৃষ্টির জন্য বের হয়নি। বাড়িতে খাবার নেই। ভ্যাননিয়ে বের না হলে খাব কি? হাটে লোকজন কম। তিনজন যাত্রী ষ্ট্যান্ডে নিয়ে এসে পেলাম ১৫ টাকা। ফিরে যাওয়ার সিরিয়ালে রয়েছি ছয়ে। এবারের লকডাউন কঠোর। খুব বেশি ভ্যান-রিকশা নেই রাস্তায়।
[৬] বাজারে আসা তালশন পালপাড়ার অসিত জানান, আমার দেখা এতোদিনের লকডাউনের মধ্য চলমান লকডাউন সেরা। শহরের সব দোকানই বন্ধ। সামান্য বাজার আর ওষুধ কিনতে এসেছি। এখনই বাসায় ফিরব।
[৭] তবে, আদমদীঘির বাসষ্ট্যান্ড বা হাটে কোথাও প্রশাসনের লোকদের দেখা যায়নি। সেজন্য অনেকেই এই মরণব্যাধি করোনায় সরকারের দেয়া ৭দিনের বিশেষ লকডাউনকে উপেক্ষা করে বাহিরে বের হচ্ছেন। সম্পাদনা: হ্যাপি