শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ০৩ জুলাই, ২০২১, ০৯:৫৯ সকাল
আপডেট : ০৩ জুলাই, ২০২১, ১১:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দেশের ৩৭ জেলায় নেই করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ

মহসীন কবির: [২] আইসিইউ, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সংকটে দেশের জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোয় বাড়ছে করোনা রোগীর মৃত্যু। পাঁচ দিন ধরে শতাধিক প্রাণহানি ঘটছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে অনেকের করতে হচ্ছে প্রাণান্ত চেষ্টা। এ মুমূর্ষু সময়ে মিলছে না আইসিইউ। সীমান্ত ও আশপাশের জেলাগুলোয় ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। কিন্তু এখনো দেশের ৩৭ জেলায় নেই করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউর ব্যবস্থা।

[৩] স্বাস্থ্য অধিদফতরসূত্রে জানা যায়, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৩৭টিতেই কভিড চিকিৎসার জন্য আইসিইউ নেই। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের পাঁচ, চট্টগ্রামের আট, রংপুরের ছয়, সিলেটের দুই, বরিশালের চার, খুলনার চার, রাজশাহীর ছয় ও ময়মনসিংহের দুটি জেলা রয়েছে। সারা দেশে মোট আইসিইউ শয্যা ২ হাজার ৪২০টি। এর মধ্যে ১ হাজার ২১৮টি ঢাকা মহানগরীতে এবং ৫৯টি চট্টগ্রাম মহানগরে।

[৫] বাকি ১ হাজার ১৪৩টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৫ জেলায়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বাদে বিভিন্ন জেলায় ‘হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা’-সংবলিত আইসিইউ সমতুল্য শয্যা আছে ১ হাজার ৬০৩টি। ১১ জেলায় সে রকম শয্যাও নেই। বগুড়ায় আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুর রহমান টুলু জানান, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সংকটে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও ১০ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে গতকাল সকাল ৭টা পর্যন্ত ২২৩ জন করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন।

[৬] যার অধিকাংশেরই উচ্চমাত্রার অক্সিজেন প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতালটিতে মাত্র দুটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা থাকায় দুজনের অতিরিক্ত কাউকে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শফিক আমিন কাজল জানান, হাসপাতালটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ চালু হলেও সব শয্যায় উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা যুক্ত করা হয়নি। এমনকি আট শয্যা নিয়ে চালু করা আইসিইউ ইউনিটেরও মাত্র দুটিতে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে। এখন যে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন বেশির ভাগেরই অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৬০-৭২-এর মধ্যে। তাদের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দিয়ে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়