শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছে: ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

প্রকাশিত : ০২ জুলাই, ২০২১, ০৩:১৫ দুপুর
আপডেট : ০২ জুলাই, ২০২১, ০৩:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইতিহাসের ১০ ‘বিশ্বাসঘাতক’ ফুটবলার

স্পোর্টস ডেস্ক : বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি শেষ লিওনেল মেসির। ২০০০ সালে বার্সার অ্যাকাডেমি লা মাসিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয় আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের। ২০০৪ সালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু। এর পর থেকে সময় শেষ হওয়ার আগেই নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। সবশেষ চুক্তিটি ৩০ জুন শেষ হয়েছে। ক্যারিয়ারের প্রথমবার ফ্রি এজেন্ট হিসেবে দেখা যাচ্ছে তাকে। এমন পরিস্থিতিতে যদি দেখেন কাতালান দলটির ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড় আগামী মৌসুমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলছেন, তাহলে অবাক হবেন?

আপাতত মেসির ক্ষেত্রে এমন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে ক্লাব ফুটবলে চির শত্রু দলের জার্সি গায়ে দেখা গেছে অনেক তারকাদের। সংক্ষেপে দেখে নেবে সেই বিশ্বাসঘাতকদের।

লুইস ফিগো -
পর্তুগালের সাবেক অধিনায়ক তারকা হিসেবে খ্যাতি পান বার্সেলোনায়। ১৯৯৫ সাল থেকে টানা পাঁচ মৌসুম কাটিয়েছেন বার্সায়। দুটি করে লা লিগা, কোপা দেল রে জিতেন ফিগো। সুপার কোপা ডি এস্পানা উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ ও উয়েফা সুপার কাপ জেতেন। ২০০০ সালে হুট করেই বিদায় জানান দলকে। নতুন ঠিকানা হিসেবে বেছে নেন রিয়াল মাদ্রিদকে।

কার্লস তেভেজ -
দুর্বল ওয়েস্টহ্যাম দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হয় আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের। তার নৈপুণ্যেই দলটিকে রেলিগেলন এড়াতে সক্ষম হয়। পরের মৌসুমেই স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন তেভেজকে ম্যানচেস্টার ইউনাইডে নিয়ে নেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো-ওয়েন রুনিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ২০০৭/০৮ মৌসুমে রেড ডেভিলসদের ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন, ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ও বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হতে সহায়তা করেন তিনি। দুই মৌসুম পর তুমুল আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়ে ম্যানইউর নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন। সিটিজেনদের হয়ে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত একটি প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ জয় করেন।

রবিন ফন পার্সি -
২০০৪ সালে নেদারল্যান্ডসের তরুণ স্ট্রাইকারকে আর্সেনালে টেনে নেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। অনুশীলন করিয়ে সময়ের সেরা তারকা হিসেবে গড়ে তুলেন। লন্ডনের দলটিতে এফএ কাপ ও এফএ কমিউনিটি শিল্ড জেতেন। ২০১২ সালে যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। যা ওয়েঙ্গার বুকে ছুড়ি চালানোর মতোই ছিল। ম্যানইউ’র জার্সিতে একটি করে প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কমিউনিটি শিল্ডের শিরোপা আদায় করেন মাঠের রবিনহুড খ্যাত এই তারকা।

গঞ্জালো হিগুয়াইন -
দিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরে পাল্টে যায় পুরো নেপলস নগরী। নেপোলিতে যোগ দেয়ার পর প্রথমবারের মতো দলটিকে সিরি আ’ জেতার সুযোগ করে দেন এল দিয়েগো। আশির দশকে ইতালিয়ান লিগে জুভেন্টাসের সঙ্গে বেশ ভালোই লড়াই চলতো নেপোলির। ২০১৩ সালে নীল জার্সি নিজের গায়ে জড়ান হিগুয়াইন। ম্যারাডোনার মতো আরেক আর্জেন্টাইনের হাত ধরে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে গ্লি আজ্জুরিরা। কোপা ইতালিয়া ও সুপারকোপা দুটি শিরোপাও এনে দেন দলকে। যদিও তিন মৌসুম পর জুভেন্টাসে নাম লেখান। এতে সমর্থকদের কাছ থেকে ঘৃণা বার্তা পেতে হয় এই স্ট্রাইকারকে।

মারিও গতজে -
বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের অ্যাকাডেমিতে গড়ে ওঠা এই মিডফিল্ডার লিওনেল মেসির ভক্তদের চোখের বিষ। ২০১৪ বিশ্বকাপে তার গোলেই আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চতুর্থ বিশ্বকাপ হাতে তোলে জার্মানি। এই ঘটনার ১ বছর আগে আরেকটি বড় ধরনের কাজ করেছিলেন। যার জন্য ডর্টমুন্ড সমর্থকদের দুয়ো শুনতে হয়েছিল গতজেকে। ২০১৩ সালে বার্য়ান মিউনিখে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। যা ছিল বুন্দেস লিগার ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত ট্রান্সফার।

সেস ফ্যাব্রেগাস -
লিওনেল মেসি, জেরার্ড পিকেদের সঙ্গে লা মাসিয়াতে বড় হয়েছেন স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার। বার্সার অ্যাকাডেমিতে ওই দলটিই ছিল সবচেয়ে সেরা। যদিও আর্সেনাল থেকে পাওয়া অফার কাজে লাগিয়ে যোগ দেন প্রিমিয়ার লিগে। সেখানেই পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় ফ্যাব্রেগাসের। ২০০৩ থেকে গানার্সদের হয়ে মাঠ মাতান। এফএ কাপ ও এফএ কমিউনিটি শিল্ড শিরোপাও জেতেন। ২০১১ সাল যোগ দেন বার্সায়। ২০১৪ সালে আর্সেনালের অন্যতম শত্রু চেলসির সঙ্গে চুক্তি করে বেশ আলোচনার জন্ম দেন তিনি।

জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ -
সুইডেন জাতীয় দলের তারকা পেশাদার ক্যারিয়ারে ১০টি দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে ইতালির তিনটি দল। ২০০৪ সালে দুই মৌসুম জুভেন্টাসে কাটান। সবাইকে অবাক করে যোগ দেন ইন্টার মিলানে। মাঝে বার্সেলোনা হয়ে আবারও ফিরেন ইতালিতে। তবে এবার ইন্টারের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানে নাম লেখান। ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত মিলানে ছিলেন। দীর্ঘ ৮ বছর পর আবারও লাল-কালো জার্সিতে নিজের করেছেন। এখনও এই দলেই খেলছেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ।

আন্দ্রেয়া পিরলো -
ইব্রাহিমোভিচের আগে অবশ্য ইতালিয়ান এই তারকা মিলানের দুই চির শত্রু দলের হয়ে খেলেছেন। গায়ে জড়িয়েছেন জুভেন্টাসের জার্সিও। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ইন্টার। ২০০১ থেকে ২০১১ পযর্ন্ত এসি মিলানের মাঠ মাতান পিরলো। ২০১৫ সাল পযর্ন্ত সাদা-কালোদের হয়ে খেলেছেন।

ইয়োহান ক্রুইফ -
নেদারল্যান্ডসের ফুটবলের সর্বকালের সেরা তারকা। বার্সেলোনার হয়েও যিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। দেশী দল আয়াক্সের জুনিয়র পর্যায়ে ফুটবলের হাতে খড়ি। পেশাদার হিসেবেও সেখান থেকেই যাত্রা শুরু ক্রুইফের। ক্যারিয়ারের শেষলগ্নে এসে আবারও ছোটবেলার দল আয়াক্সে যোগ দেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সে যখন খেলা ছেড়ে দেয়ার কথা ঠিক ওমস সময় জন্ম দেন বির্তকের। যোগ দেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ফেয়েনর্ডে। ওই দলটির হয়ে ডাচ লিগ ও কেএনভিবি কাপও জয় করেন। বিদায় জানান ফুটবলকে।

রোনালদো ডি লিমা -
বিশ্বাসঘাতকদের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখলে রেখেছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন দেখতেন বার্সেলোনায় খেলবেন। ১৯৯৭ সালে স্বপ্ন সত্যি হয়। যদিও এক মৌসুম কাটিয়ে যোগ দেন ইন্টার মিলানে। ২০০২ সালে পাড়ি জমান রিয়াল মাদ্রিদে। কাতালান সমর্থকদের এর থেকে কষ্টের বিষয় আর কিছুই হতে পারে না। মাদ্রিদে পাঁচ মৌসুম কাটিয়ে নতুন ঠিকানা হিসেবে বেছে নেন এসি মিলান। জ্বি, ঠিকই পড়ছেন বার্সা-রিয়াল, ইন্টার-মিলানের মতো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন একমাত্র রোনালদোই। - আরটিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়