শিরোনাম
◈ সকালে উঠেই এক লিটার পানি পান: কতটা উপকারী? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? ◈ তারেক-জুবাইদার দুর্নীতির মামলায় ‘ত্রুটিপূর্ণ বিচার’, পূর্ণাঙ্গ রায়ে খালাস হাইকোর্টে ◈ বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই তরুণীকে নিয়ে যা বললেন আহমাদুল্লাহ (ভিডিও) ◈ জুলাই স্মরণে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ফের প্রকম্পিত ঢাবি (ভিডিও) ◈ পর্যাপ্ত অর্থ ও হোটেল বুকিং না থাকায় কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ৯৬ বাংলাদেশি আটক ◈ বাড়ির নিচতলায় গ্যারেজে বসে চোখের পানি ফেলছেন, ছেলের বিরুদ্ধে মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ◈ ইংল‌্যা‌ন্ডের লর্ডসে ডুবলো ভার‌তের রণতরী, সিরিজে এ‌গি‌য়ে গে‌লো ইং‌রেজরা ◈ কানাডার টরন্টো শহরে ইসকনের রথযাত্রায় ডিম নিক্ষেপ, ঘটনায় ভারতের গভীর উদ্বেগ (ভিডিও) ◈ একটি দল লম্বা লম্বা কথা বলা ছাড়া সুকৌশলে চাঁদা ও হাদিয়া নেওয়া ছাড়া কোনো কাজ করে না: মির্জা আব্বাস ◈ শাপলা প্রতীক নিয়ে রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক!

প্রকাশিত : ০২ জুলাই, ২০২১, ০২:৫৯ দুপুর
আপডেট : ০২ জুলাই, ২০২১, ০২:৫৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মানব কল্যাণে ইসলামের মহানুভবতা

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান: ইসলাম এমন এক জীবনবিধান যা মানুষের সার্বিক কল্যাণের কথা বলে। সমাজে বসবাসরত মানুষগুলো কীভাবে শান্তি-সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে বসবাস করতে পারে সেভাবেই এর প্রতিটি নির্দেশনা। যাঁর কোথাও কোনো বিন্দুমাত্র ত্রুটি নেই। মানবজাতির এই সংবিধান সম্পর্কে আল্লাহ রব্বুল আলামিন নিজেই বলেছেন,‘এই সেই কিতাব, যাতে কোনো সন্দেহ নেই। এই কিতাব তাঁদের জন্য পথপ্রদর্শক যাঁরা তাকওয়া অবলম্বন করে।’ (সূরা আল বাকারা, আয়াত : ০২)।

সুতরাং যাঁরা এই কিতাবের পূর্ণ অনুসরণ করে জীবনকে পরিচালনা করবে তাঁরা দুনিয়াতে সম্মানিত হবে। আর আখিরাতের এই বিনিময় হবে জান্নাত। এই কিতাবের অনুসরণ করেছেন বলেই হজরত ওমর রা: যুগশ্রেষ্ঠ মানুষ হতে পেরেছেন। এই কিতাব কোটি কোটি মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছে। জাহান্নামের পথ থেকে ফিরিয়ে জান্নাতি মানুষে পরিণত করেছে। যাঁর অন্তরে এই জ্যোতিময় কিতাবের পরশ লেগেছে, সে দীনের জন্য জীবন দিয়েছে। তবুও শয়তানের কাছে মাথা নত করেনি। নিজের অধিকারকে দু’পায়ে লুটিয়ে দিয়েছে। অন্যের অধিকারের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়নি। পূর্ণ ইমান ও তাকওয়ার সাথে অপরের হক আদায় করেছে। রাজা হয়ে প্রজা বেশে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করেছে। রাতের আঁধারে মরুভূমিতে ঘুরে বেরিয়েছে। আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে এ ভয়ে সদা চিন্তিত থেকেছে।

যাঁরা তাকওয়ার অধিকারী তাঁরা কখনো আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করতে পারে না। তাঁরা সবসময় চায় আল্লাহর গোলামি করতে। মানুষের হক তারা কখনো নষ্ট করে না। মানুষ যখন অপরের অধিকার সচেতন হয়ে উঠে তখন সমাজে কোনো বিশৃঙ্খলা থাকে না। একজন মানুষ যখন আরেকজন মানুষের সম্মান ও মর্যাদার কথা বিবেচনা করে, সে সমাজ শান্তিময় হয়ে উঠে। ইসলাম মানুষকে এমনি একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য বলেছে। সে সমাজে মানুষ মানুষের বন্ধু হয়ে থাকবে। কেউ কারো সম্পর্কে খারাপ ধারণাও পোষণ করবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,‘হে ইমানদারগণ, তোমরা বেশি বেশি অনুমান করা থেকে বেঁচে থাকো। কিছু কিছু অনুমান তো অপরাধ। একে অপরের পেছনে গোয়েন্দাগিরি করো না। আর একজন আরেকজনের গিবত করা থেকে বিরত থাকো। তোমাদের মধ্যে কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? অবশ্যই এটাকে তোমরা ঘৃণা করো। আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।’ (সূরা আল হুজুরাত, আয়াত : ১২)।

পরিবার ও সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কারো দোষ জানা থাকলেও তা প্রকাশ করা উচিত নয়। বরং গঠনমূলক সমালোচনার জন্য ব্যক্তিকে তা অবহিত করতে হবে। আর তা এমনভাবে করা উচিত যেন ব্যক্তি সত্যিই বুঝতে পারে আসলে সে ভুল করেছে। তার ভুলটি শুধরে নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে শিক্ষা দেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, আমি যদি কারো সম্মান বাঁচিয়ে তাকে ভুল শোধরানোর সুযোগ করে দেই আর সে পাপ থেকে বাঁচতে পারে, কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ তায়ালা এ কারণে আমাকেও অনেক বড় বিপদ থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারেন।

কারো সম্পর্কে বাজে ধারণা পোষণ করা মোটেই উত্তম মানুষের পরিচয় বহন করে না। যদিও কারো খারাপ বিষয় জানা থাকে আর তা সাধারণ মানুষের ইমান-আমলে বিশেষ কোনো ক্ষতি না হয়, তা প্রকাশ না করাই ভালো। যদি সেটা জনসাধারণের সাথে সম্পৃক্ত না হয়ে একান্ত ব্যক্তি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে তা গোপন রাখা উচিত। হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত এক হাদিসে মহানবি সা: বলেন,‘দুনিয়াতে যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে সেই ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। আর বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সহযোগিতায় লিপ্ত থাকে, আল্লাহও ততক্ষণ তার সহযোগিতা করেন।’ (তিরমিজি)।

লেখক : সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়