লিহান লিমা: [২] বহুজাতিক সংস্থাগুলোতে কম মুনাফার দেশের অফিস স্থানান্তর করে কর ফাঁকি দেয়া থেকে বিরত রাখার বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আনা ১৫ শতাংশ বৈশ্বিক নূন্যতম করের পেছনে সমর্থন দিয়েছে ১৩০টি দেশ।
[৩] স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলো করস্বর্গ বলে খ্যাত বারমুডা ও ক্যামেন দ্বীপপুঞ্জ এবং চীন ও ভারতের মতো বৃহত্তর অর্থনৈতিক দেশ। সিএনবিসি
[৪]প্যারিসভিত্তিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত এই চুক্তিতে দেশগুলো যেখানে কোম্পানিগুলোর শারীরিক উপস্থিতি নেই তবে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে আয় করছে সেক্ষেত্রেও কর আরোপ করতে পারবে।
[৫]ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনে লে মাইরে একে ‘শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কর চুক্তি’ বলে অভিহিত করেন। মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন এটিকে ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে অভিহিত করেন। তবে আয়ারল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা চুক্তির পদ্ধতিতে সমর্থন দিচ্ছে কিন্তু সর্বনিম্ন ১৫ শতাংশের সঙ্গে একমত নয়। দেশটির অর্থমন্ত্রী পাস্চল দোনোহে বলেছে, এটি ১২.৫ শতাংশ হওয়া ন্যায্য হার ছিলো।
[৬]ইতোমধ্যেই ফ্রান্সের নেতৃত্বের বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একতরফাভাবে নিজস্ব পছন্দকৃত হারে অ্যামাজন, গুগল ও ফেসবুকের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টদের ওপর যে ডিজিটাল কর আরোপ করেছে চুক্তির অধিনে তারা ওই কর প্রত্যাহার করবে এবং একক বৈশ্বিক কর নীতি অনুসরণ করবে।
[৭]অক্টোবরে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে চূড়ান্ত অনুমোদনের পূর্বে এই করচুক্তির সম্পর্কে আগামী সপ্তাহে ভেনিসে জি-২০ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে আরো আলোচনা হবে।