আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] গোপালগঞ্জে গত ৮ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯জন। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৬২১ জন। এ নিয়ে গত ২২শে জুন থেকে ৩০শে জুন পযন্ত এই ৮দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছে ৫৫জন ও আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫০৪৯ জন। গোপালগঞ্জের সিভিল সাজন ডা, সুজাত আহম্মেদ এ তথ্যে নিশ্চিত করেছেন।
[৩] এদিকে, দেশব্যপী ৭দিনের কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজও গোপালগঞ্জ থেকে দুরপাল্লার কোন পরিবহন ছাড়েনি। অভ্যান্তরীন ৫টি রুটেও পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে শহরে কিছু কিছু রিকসা-ভ্যান-অটো-মাহেন্দ্রছাড়াও ইট-বালু ভতি বেশ কিছু ট্রাক ও ট্রলি চলাচল করেছে। চাপাইল সেতুর গোড়ায়, সিও অফিস ঘাট, উপজেলার সামনে, হাসপাতালের সামনে, পাচুড়িয়া বাজার, বড় বাজার এলাকা, গেটপাড়া, বেদগ্রাম, পুলিশ লাইন মোড়, মান্দারতলা, ঘোনাপাড়া মোড়সহ কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫টি গুরুত্বপুন জায়গায় দোকানপাট খোলা দেখা গেছে।
[৪] তবে, দোকানপাট খোলেনি মুল শহরের চৌরঙ্গিঁ, মোসলেম প্লাজা, কেরামত প্লাজা, স্বনপট্রি, পোস্ট মোড়, বিনাপানি মোড়, কালিবাড়ী মোড়, থিয়েটার রোড়সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। তবে, চোরাই পথে দোকান খুলে বেচাকেনা করছে শাড়ীকাপড় ও জুতা স্যান্ডেল ব্যবসায়ীরা।অন্যান্যদিনের চেয়ে আজ মানুষের চলাচল খুব বেশি চোখে পড়েনি,শহরের সকল গুরুত্বপুর্ন স্থানগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হলেও একমাত্র হাসপাতালের সামনে ও পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকায় ৩/৪জন পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে।
[৫] গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার দিকনির্দেশনায় সকাল থেকে করোনার সংক্রমন হতে মানুষকে রক্ষা করতে ৬জন ম্যাজিষ্ট্রেট, ৫ জন ইউএনও ও ৪জন এসিল্যান্ড ছাড়াও অতিরিক্ত জেলা ম্যজিষ্ট্রেটও গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় সাবক্ষনিক মোবাইলকোট পরিচালনা করছেন। ঔষুধ, নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য, খাবার হোটেল খোলা ছিলো। এছাড়া জেলা প্রশাসন, জেলা তথ্য অফিস সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকরে জেলাব্যাপী ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :