শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ০২ জুলাই, ২০২১, ১০:৫৮ দুপুর
আপডেট : ০২ জুলাই, ২০২১, ১০:৫৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] আশা জাগানিয়া শেয়ারবাজারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে লকডাউন: অধ্যাপক আবু আহমেদ

আমিরুল ইসলাম :[২] নানান কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শেয়ারবাজার নতুন করে বিনিয়োগকারীদের মনে আশা জাগিয়েছিলো। নতুন করে শেয়ারবাজারের প্রতি আস্থা তৈরি হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে শেয়ারবাজারে দুষ্টচক্রের প্রভাব অনেকটা কমেছে। জুন মাসে বিগত দশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ছিলো শেয়ারবাজার। সেই অবস্থায় নতুন করে বাধ সেধেছে চলমান কঠোর লকডাউন।

[৩] শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগ করার সুযোগ পুনর্বহাল রাখার কারণে বিনিয়োগ বাড়বে কিনা এবং লকডাউনের কারণে শেয়ারবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ আরও বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আগের মতো নয়। এখন আর সরাসরি কালো টাকা সাদা করা যাবে না। আগে ১০ শতাংশ কর দিলে বিনিয়োগকৃত কালো টাকা সাদা হয়ে যেতো। এবার নরমাল টেক্স রেট দিতে হবে। কারও ১৫ শতাংশ, কারও ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হবে। এরপরও আবার ৫ শতাংশ অতিরিক্ত কর দিতে হবে। আগেও নরমাল টেক্সটরুলে এটা খোলা ছিলো তখন জরিমানা একটু বেশি ছিলো, ১০ শতাংশের ওপরে। এখন সেটা একটু কমেছে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে পুরো অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অর্থনীতি ও গরিব মানুষের প্রধান শত্রু হচ্ছে লকডাউন। যারা লকডাউন দিয়েছে তারা চিন্তা-ভাবনা করেই দিয়েছে। লকডাউনে শেয়ারবাজার অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ শেয়ারবাজারে মানুষ যেতে না পারলে টার্নওভার কমে যাবে, যেহেতু লেনদেনের সময়ও কমে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের অর্থনীতি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কম আর বেশি। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

[৪] অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময় লকডাউনের বিপক্ষে। করোনাভাইরাসকে আমাদের অন্যভাবে মোকাবেলা করতে হবে। চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের মাধ্যমে, ভ্যাকসিনেশনের ও স্বাস্থ্যবিধি মানানোর মধ্য দিয়ে। আর্থিক সক্ষমতা না থাকার কারণে বাংলাদেশের মানুষ লকডাউন মেনে নিতে পারে না। লকডাউনের সময়ে শেয়ারবাজারের কার্যক্রম ধীরগতিতে চলবে, কিন্তু যে আশা জেগে ওঠেছিলো সেটা কমে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়