মাসুদ আলম: [২] লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চেকপোস্টে প্রতিটি মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িকে দাঁড় করিয়ে রাস্তায় নামার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ না দেখাতে পারলেই জরিমানা। কেউ বলেন লকডাউন দেখতে বের হয়েছি। আবার কেউ বলেন লকডাউনের বিষয় জানেন না। অনেকে বের হওয়ার কারণ হিসেবে নানা যুক্তি দেন। এসময় অনেককে আবার দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রেখে অকারণে বের না হওয়ার শর্তে বাসায় ফেরত পাঠানো হয়।
[৩] র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি মাঠে তৎপর ছিলো সেনাবাহিনী ও বিজিবি।
[৪] প্রধান সড়ক নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও পাড়া মহল্লায় ছিলো যা-তা অবস্থা। যে যার মতো ঘোরাফেরা করছে, পুলিশ দেখলেই দৌড়ে পালাচ্ছে। অধিকাংশের মুখেই মাস্ক নেই।
[৫] ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের এডিসি ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, ক্রাইম ডিভিশন, ট্রাফিক ডিভিশন ও গোয়েন্দা বিভাগ মাঠে কাজ করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে আটজনকে। বাকিদের মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। ব্যক্তির পাশাপাশি অনেক প্রতিষ্ঠানকেও জরিমানা করা হয়েছে।
[৬] তিনি জানান, গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ২৭৪টি। গাড়ি জব্দ করা হয় ছয়টি, রেকারিং করা হয় ৭৭টি। আটক সবচেয়ে বেশি তেজগাঁওয়ে ৩১৬। গ্রেপ্তার সবচেয় বেশি গুলশানে ১৩১ এবং জরিমানাও, মামলা সবচেয়ে বেশি মিরপুরে ৯৮। মোট জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫০৭ টাকা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব