কামাল হোসেন : [২] রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পারিবারিক কলহের জের ধরে জয়গন বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী মুক্তার সরদারে বিরুদ্ধে।
[৩] সে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের আঙ্কের শেখের পাড়া এলাকার ইসলাম সরদারের ছেলে। মৃত জয়গন এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী। ঘটনার পর স্বামী পলাতক রয়েছে। বুধবার (৩০জুন) বিকেল ৫ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত জয়গন গোয়ালন্দ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের দেওয়ান পাড়া গ্রামের জয়নউদ্দিন মিস্ত্রীর মেয়ে।
[৪] বৃহস্পতিবার (১জুলাই) বিকালে এক এজহারে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
[৫] জয়নদ্দিন মিস্ত্রী বলেন, জামাই প্রায়ই আমার মেয়ের উপর অত্যাচার করতো। কয়েকদিন আগে সে আমার মেয়েকে মেরে জখম করে আমার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। আমি চিকিৎসা করে সুস্থ্য করলে সে আবার বলে কয়ে আমার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এবার আমার মেয়েকে মেরেই ফেললো। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে নাই। আমি ওর ফঁসি চাই।
[৬] মুক্তারের বোন আছমা বেগম জানান, আমি এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে মারধরের বিষয়ে জানতে পেরে দ্রুত বাড়ি গিয়ে দেখি আমার ভাই ভাবীর বুকের উপরে বসা। সে তার হাত দিয়ে ভাবির গলা টিপে ধরে রেখেছে। আমাকে দেখে আমার ভাই দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। আমি কাছে গিয়ে দেখি ভাবির মুখ দিয়ে ফুপড়ি উঠছে। আমরা তারাতারি তাকে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তার দেখার পর বলে সে মারা গেছে । সে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে নাই। তাকে আমার ভাই মুক্তার নিজেই গলাটিপে হত্যা করেছে।
[৭] এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজবাড়ীর মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবা তারা মেয়েকে হত্যার বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।