স্পোর্টস ডেস্ক : [২] ইংল্যান্ডে করোনাভাইরাসের কঠোর বাস্তবতা যেন এখন অতীত। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো যেখানে ধুঁকছে, সেখানে ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের দেশগুলোর জীবনযাত্রা হচ্ছে অনেকটাই স্বাভাবিক। তার ছাপ দেখা যাবে পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের ওয়ানডে সিরিজে।
[৩] ৮ জুলাই থেকে যুক্তরায্যের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফে শুরু হবে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ১০ জুলাই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ হবে ইংল্যান্ডে। সেখানেই ফিরবে গ্যালারিভর্তি দর্শক। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের পর ইংল্যান্ডের কোন মাঠে দেখা যাবে এমন স্বস্তির দৃশ্য। ২০২০ সালের পুরোটা এবং চলতি ২০২১ সালের অনেকটা সময় কেড়ে নেয় মহামারি করোনাভাইরাস।
[৪] ইংল্যান্ডও এই ভাইরাসের হানায় ছিল কাহিল। তবে চলতি বছর বেশিরভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরই বদলে যেতে থাকে চিত্র। লকডাউন উঠিয়ে স্বাভাবিক হতে থাকে জীবনযাপন। গত মাস থেকে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মাঠে ফিরেছেন দর্শক। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এজবাস্টনে ১৭ হাজার দর্শক তিন দিন মিলিয়ে মাঠে বসে দেখেন খেলা। যা স্টেডিয়ামটির ধারণ ক্ষমতার ২০-২৫ শতাংশ।
[৫] সীমিত দর্শক উপস্থিতি ছিল সাউদাম্পটনে ভারত-নিউজিল্যান্ডের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও। চলমান ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে সিরিজেও গ্যালারিতে দেখা যাচ্ছে দর্শক উপস্থিতি। তবে পুরো টিকেট এখনো বিক্রি করা হচ্ছিল না। যুক্তরাজ্য সরকারের ইভেন্ট রিসার্চ প্রোগ্রামের সিদ্ধান্তে লর্ডসে পুরো আসনের টিকেটই বিক্রি করা হচ্ছে। বার্মিংহামের এজবাস্টনে পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের তৃতীয় ওয়ানডে দর্শক উপস্থিতি থাকবে ৮০ শতাংশ। - ডেইলি স্টার