স্বপন দেব: [২] মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে শহরের চৌমুহনা চত্বরে “মাস্ক পরুন” এবং সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহারের আল্পনা এঁকে সচেতন সচেতন করছেন জনসাধারণকে।
[৩] মঙ্গলবার সকালে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্তরে দেখা যায়, পথচারীরা দাঁড়িয়ে মাস্ক পরুন আল্পনা দেখছে, অনেকে রিকশা, গাড়ী থামিয়েও লেখা পড়ছেন। আবার কেউ কেউ দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে।
[৪] এসব দেখে অনেকেই আবার পাশের দোকান থেকে মাস্ক কিনতে দেখা গেছে। এদিকে দিন বাড়ার সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই সচেতন মূলক আলপনার ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
[৫] উল্লেখ্য, দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রীমঙ্গলে করোনা সংক্রমণরোধে ‘নো মাস্ক’ নো সার্ভিস’ কার্যক্রম নীতি ব্যাপকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষে ‘নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছিল শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন।
[৬] এসবের মধ্যে, উপজেলা জুড়ে ক্যাম্পেইন, শহরের বিভিন্ন দোকানে, শপিংমলে, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস স্পিকার সাঁটানো, শর্ট ফিল্ম তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার, পথচারীদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মানুষকে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে সচেতনতা বাড়াতে ‘সুরক্ষা এলার্ট’ টিমের স্বেচ্ছাসেবকরা দিনভর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় মাইকিং করে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছে।
[৭] শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, এর আগেও আমরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। এর সুফলও শ্রীমঙ্গল বাসী পেয়েছে। করোনা’র শুরু থেকেই’ ডাক্তার, শিক্ষক, রোভার স্কাউট, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ সকল শ্রেনীপেশার মানুষকে সাথে নিয়ে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ লিফলেট বিতরণ, ‘সুরক্ষা এলার্ট গাড়ীর মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা। কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আবার যেহেতু দেশে করোনার প্রভাব বাড়ছে তাই আমরা নতুন কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছি মানুষকে সচেতন করতে।