শিরোনাম
◈ ভুয়া জুলাই শহীদ-যোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ◈ কুয়াকাটা সৈকত থেকে আবারও অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার ◈ আদমদীঘিতে ভাঙা রেললাইনে কম্বল গুঁজে ১৮ ঘন্টা ট্রেন চলাচল ◈ জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ব্যক্তি বিবেচনায় এলএনজি কেনা হচ্ছে না, পিটার হাসের কোম্পানি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ◈ বিসিএস পরীক্ষা: কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত ◈ চশমা ছাড়াই স্পষ্ট দেখা সম্ভব, কার্যকর আই ড্রপ উদ্ভাবন ◈ যেসব বিষয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন বেতন কাঠামোতে  ◈ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে ইসরা‌য়েল‌কে বহিষ্কারের দাবি জানা‌লেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ◈ কূটনৈতিক সংকট ছাপিয়ে বাণিজ্যে ভারত–বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে

প্রকাশিত : ২৯ জুন, ২০২১, ০৪:০৮ সকাল
আপডেট : ২৯ জুন, ২০২১, ০৪:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পেনাল্টিতে কপাল পুড়ল এমবাপ্পেদের, শেষ আটে সুইজারল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক: ইউরো কাপের ২য় ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষটা ভালো হল না ফ্রান্সের। খেলার ৯০ মিনিট শেষে গোলের হিসেবে দু’দলের ঝুলিতে ৩ টি করে গোল এরপরেই ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। তবে পরের অংশে কোন দলই সুবিধা করতে না পারায় খেলা শেষ হয় টাই ব্রেকার দিয়ে।

কী একটা রাত গেল ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে! গোল ‍উৎসব আর নাটকে পরিপূর্ণ দুই ম্যাচ উপভোগ করলেন ফুটবলপ্রেমীরা। প্রথম ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ৩-৩ গোলে ড্র থাকার পর ৫-৩ ব্যবধানে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে শেষ আটে নাম লিখিয়েছে স্পেন।

পরের ম্যাচটিতেও প্রায় একইরকম চিত্রনাট্য। সুইজারল্যান্ড আর ফ্রান্সের লড়াইয়ে নির্ধারিত ৯০ মিনিট থাকলো ৩-৩ সমতায়। তবে এই ম্যাচে অতিরিক্ত সময়েও সমতা কাটানো গেল না। ফলে ভাগ্য নির্ধারণ গড়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে।

শট শুরু হয় সুইজারল্যান্ডকে দিয়ে। পেনাল্টিতেও প্রথম চার শটে ছিল সমতা। পঞ্চম শটে সুইসদের পক্ষে গোল করেন মেহমেদি। কিন্তু পারেননি ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে। তার জোড়ালো শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সমার। তাতেই বিদায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের, উল্লাসে মাতে সুইস শিবির।

বুখারেস্টের ন্যাশনাল এরেনায় নাটকের পর নাটক হয়েছে। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। দ্বিতীয়ার্ধে করিম বেনজেমার দুই মিনিটের দুই গোলে এগিয়ে যায় তারা। পরে ব্যবধান ৩-১ করে জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন পল পগবা।

কিন্তু নাটক তো তখন আরও বাকি! নির্ধারিত সময়ের শেষ ৯ মিনিটে দুই গোল করে অবিশ্বাস্যভাবে ৩-৩ সমতা ফেরায় সুইজারল্যান্ড। ম্যাচটা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে কোনো দলই গোল করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি শ্যুটআউটই গড়েছে ম্যাচের ভাগ্য।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই ১৫ মিনিটের মাথায় গোল হজম করেছিল ফ্রান্স। বক্সের বাঁ দিক থেকে সুইজারল্যান্ডের স্টিভেন জুবেরের উঁচু ক্রসের বল লাফিয়ে উঠে দারুণ হেডে জালে জড়ান হ্যারিস সেফারোভিচ। ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস বাঁ দিকে ডাইভ দিলেও নাগাল পাননি বলের।

পিছিয়ে পড়া ফ্রান্স এরপর কয়েক মিনিটের মধ্যে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে। বেশিরভাগই কিলিয়ান এমবাপের পায়ে গিয়েছিল, কিন্তু ফরাসি স্ট্রাইকার সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি।

২৯ মিনিটে সবচেয়ে ভালো সম্ভাবনাটি নষ্ট হয় ফ্রান্সের। আদ্রিয়ান র্যাবিওটের বক্সের অনেক বাইরে থেকে নেয়া বুলেট গতির শট একটুর জন্য পোস্টের ডানদিক ঘেঁষে চলে যায়।

ফলে প্রথমার্ধে বল ৫৪ ভাগ বল দখলে রেখে ৭টি শট নিলেও (লক্ষ্যে একটিও নয়) গোলের দেখা পায়নি ফ্রান্স। অন্যদিকে ৪ শটের একটিকে গোলে পরিণত করা সুইজারল্যান্ড ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের সর্বনাশ হতে যাচ্ছিল ফ্রান্সের। ৫১ মিনিটে সুইস মিডফিল্ডার জুবেরকে পেনাল্টি এরিয়ায় পা দিয়ে আটকে ফেলে দিয়েছিলেন বেঞ্জামিন পাভার্ড।

অনেকটা সময় পর ভারের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। কিন্তু রিকার্ডো রদ্রিগেজের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে আটকে দেন ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস।

পেনাল্টিতে গোল বেঁচে যাওয়ার পরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ফ্রান্স। ৫৭ মিনিটে এমবাপের পাস থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে সমতা ফেরান বেনজেমা। দুই মিনিটের মাথায় বক্সের ডানপাশে বল পেয়ে ক্লোজ রেঞ্জ থেকে হেডে আরও এক গোল তার।

এরপর ৭৫ মিনিটে চোখ ধাঁধানো শটে ব্যবধান ৩-১ করেন পল পগবা। বক্সের বেশ বাইরে থেকে বুলেট গতির এক বাঁকানো শটে পোস্টের ওপরের কোণ দিয়ে বল পার করেন ফরাসি মিডফিল্ডার। সুইস গোলরক্ষক বলের লাইনে ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি।

এর ছয় মিনিট পরই এক গোল শোধ করে সুইজারল্যান্ড। এমবাবুর ক্রস থেকে ক্লোজ রেঞ্জে পাওয়ারফুল এক হেডে নিজের দ্বিতীয় গোল তুলে নেন সেফারোভিচ। হুগো লরিস নড়ারও সময় পাননি।

তবু ফ্রান্সই জয় দেখছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ১০ সেকেন্ডের মতো বাকি থাকতে ফের রোমাঞ্চ। জাকার দূর থেকে বাড়ানো পাস গোলপোস্টের একদম কাছে পেয়ে চোখের পলকে গোল করে দেন মারিও গাভরানোভিচ। ৩-৩ সমতায় ফেরে সুইজারল্যান্ড।

শেষ সময়ে ফ্রান্সের কপালটা খুলতে পারতো। যোগ করা সময়ে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে বুকে রিসিভ করে পায়ে নামান কোম্যান। ডান পায়ে শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ক্রসবারের ওপরের দিকে লেগে ফেরত আসলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়