মিজান লিটন : [২] করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ‘লকডাউন’ সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারি বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে চাঁদপুরে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রিকশায় একজন করে যাত্রী বহন ছাড়া অন্য বাহন চলতে দেয়া হচ্ছে না। তবে অনেকেই বিধি নিষেধের বিষয়টি সঠিকভাবে অবগত না হওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় কাজে বেরিয়ে পড়েছেন। যার কারণে অন্যদিনের মত শহরের সড়কগুলোতে লোকজনের সংখ্যা কম নয়। তবে বিপনী বিতানগুলো বন্ধ আছে।
[৩] সোমবার (২৮ জুন) সকাল ১১টায় শহরের পালবাজার গেট, কালিবাড়ী কোর্ট স্টেশন, শপথ চত্বর, নতুন বাজার মোড়, মিশন রোড মোড় ও বাস স্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখাগেছে পুলিশ কাজ করছে। রিকশায় দুইজন হলে একজন যাত্রীকে নামিয়ে দিচ্ছে। মোটর বাইকেও একজনের বেশী যেতে দেয়া হচ্ছে না। নিয়ম অমান্য করে আসা রোগী ছাড়া ইজি বাইক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিছু সংখ্যক অটোরিকশা আটক করে স্টেডিয়াম মাঠে রাখা হচ্ছে।
[৪] শহরের কালিবাড়ী এলাকায় কয়েকজন রিকশা চালক জানান, অটোরিকশার কারণে আগে রিকশায় যাত্রী কম উঠতেন। তবে আজকে যাত্রীর সংখ্যা বেশী। রিকশার যাত্রী মারুফা বেগম বলেন, বাসা থেকে অটোরিকশায় ৫টাকার ভাড়া এখন তিনি রিকশা এসেছেন ৩০ টাকা দিয়ে। ভোগান্তি কোনভাবেই কমছে না। প্রয়োজনীয় কাজে বাসা থেকে বের না হয়ে উপায় নেই।
[৫] নিয়ম না মেনে ইজি বাইক নিয়ে নেমেছেন বেশ কয়েকজন চালক। এর মধ্যে শহরের বড় স্টেশন এলাকার চালক আমির হোসেন বলেন, প্রতিদিনের রোজগার দিয়ে সংসার চলে। গাড়ী বন্ধ থাকলে সংসার চলবে কিভাবে। ঘরে চাল নেই এ জন্য বের হয়েছি।
[৬] এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। লকডাউন চলাকালীন সময়ে ভ্রাম্যমান আদালত অব্যহত থাকবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
[৭] চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায় বলেন, লকডাউন বাস্তবায়ন সরকার যে বিধি নিষেধ দিয়েছে তা অনেকেই জানেন। রিকশা ছাড়া অন্য কিছু চলতে পারবে না। মার্কেটগুলো বন্ধ থাকবে। তারপরেও আমরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিছু মানুষ এখনো রাস্তায় আছে।
[৮] তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির অবনতি অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পারছে না। আশা করি পরিস্থিতি বুঝে আর কেউ ঘর থেকে বের হবে না। নিষেধ থাকার কারণে আমরা যেসব গাড়ীগুলো শহরে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না, সেগুলোও এর পরে আর বের হবে না বলে আমি মনে করছি। গনমাধ্যমসহ সকলকে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমাদেরকে সহযোগিতা করার আহবান জানাচ্ছি।