শিরোনাম
◈ আমরা তীব্র মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছি: যুবদল সভাপতি (ভিডিওি) ◈ পরকীয়া ঠেকাতে ছেলের কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইটে ‘বোমা’ আতঙ্ক ছড়ানোয় মা-সহ গ্রেপ্তার ৩: র‍্যাব ◈ মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার: যৌথ তদন্তে কাজ করবে ঢাকা-কুয়ালালামপুর ◈ “বাংলা মাতৃভাষা বললে বিদেশি”, আসামে আসন্ন আদমশুমারি ঘিরে হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্তব্যে তোলপাড় ◈ চান্দিনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ ◈ ঘোড়াশালে এক কেজি কাঁচামরিচের দাম ৬০০ টাকা”ক্রেতারা দিশেহারা ◈ ‘আমরা মানুষ হবো কবে?’:মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘিরে আজহারীর হৃদয়বিদারক প্রতিক্রিয়া ◈ মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: “নরপিশাচদের সামলান” — তারেক রহমানকে এনসিপি নেতা সারজিস আলমের কড়া বার্তা ◈ সেনাবাহিনী-পুলিশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে: আইএসপিআর ◈ মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা: দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আশ্বাস আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের

প্রকাশিত : ২৮ জুন, ২০২১, ০৫:১৪ বিকাল
আপডেট : ২৮ জুন, ২০২১, ০৫:১৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ড্রামের ব্যবসায় কর্মসংস্থান তিন শতাধিক মানুষের, হচ্ছেন স্বাবলম্বী

তৌহিদুর রহমান: [২] নবীনগর উপজেলার দুই গ্রামে ড্রামের ব্যবসা করে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ। ঢাকার সোয়ারীঘাটের পুরোনো লোহার ড্রাম কিনে এনে মেরামত করে নতুন করে বিক্রি করে উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের দুই গ্রামের এই কাজের সাথে জড়িত পরিবার গুলো বদলে যাচ্ছে অর্থনীতি অবস্হা। সে সাথে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে তারা হচ্ছেন স্বাবলম্বী।

[৩] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ২৫ বছর আগে নবীপুর গ্রামে ড্রাম ব্যবসার সূচনা হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিস্তৃত হতে থাকে এই ব্যবসা। নবীপুর ও দড়িলাপাং গ্রামের ব্যবসায়ীরা সোয়ারীঘাট থেকে লট হিসেবে তেল ও দেশের বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন কেমিক্যালের পুরোনো ড্রাম ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কিনে আনেক।

[৪] পুরাতন ড্রামগুলোকে নতুন আঙ্গিকে বিক্রির উপযোগী করতে তাদের খরচ হয় গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। ঢাকনা সংযোজনসহ মেরামত বাবদ কারখানায় কাজ করা শ্রমিকরা ড্রাম প্রতি মজুরি পায় ৬০ থেকে ৮০ টাকা করে। পরবর্তীতে ড্রামগুলো ধুয়ে-মুছে রং করা হয়। ড্রামগুলো মূলত ধান, চাল ও গমসহ অন্যান্য পণ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়।

[৫] দড়িলাপাং গ্রামের ড্রাম ব্যবসায়ী মো. রুবেল বলেন, ড্রাম ব্যবসা করে আমাদের দুই গ্রামের অনেকের ভাগ্য বদল হয়েছে। নতুন করে অনেকে ব্যবসায় আসতে চাইছেন। বিক্রির জন্য নতুন রুপে ড্রামগুলো প্রস্তুত করে নদীপথে নৌকায় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। বড় নৌকাগুলোতে ৪০০ পিস ড্রাম এবং ছোট নৌকাগুলোতে ১০০ পিস ড্রাম ধারণ করে।

[৬] ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয় এসব ড্রাম। প্রতিটি ড্রাম বিক্রি হয় ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। প্রতি মাসে নবীপুর ও দড়িলাপাং থেকে গড়ে ১৫ থেকে ১৮ হাজার ড্রাম বিক্রি হয়। যার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকার বেশি।

[৭] আরেক ব্যবসায়ী খলিল মিয়া বলেন, ‘ড্রাম ব্যবসার কারণে শ্রমিকরা গ্রামের বাইরে না গিয়েও ভালো টাকা আয় করছে। এতে করে গ্রামে বেকারত্ব কমছে। এখন মালিক-শ্রমিক দুই পক্ষই ভালোভাবে চলতে পারছে’। এতে উভয়ের আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

[৮] কারখানার শ্রমিক ফুল মিয়া জানান, তিনি ১৫-১৬ বছর ধরে ড্রাম মেরামতের কাজ করছেন। প্রতিদিন ১০-১২টি ড্রাম মেরামত করে ঢাকনা সংযোজন করেন। সারাদিন ভাল ভাবে কাজ করতে পারলে একজন শ্রমিক গড়ে দৈনিক ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় করতে পারেন।

[৯] নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক বলেন,‘ব্যবসায়ীরা যদি আমাদের কাছে সহযোগিতার জন্য আবেদন করেন, তাহলে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে কিছু করা যায় কি না- সেটি আমরা দেখব। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়