সনত চক্রবর্ত্তী: [২] ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারী উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (২৩ জুন) বিকালে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি উদ্বোধন করেন, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
[৩] জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ফরিদপুর-এ একটি নান্দনিক ও শৈল্পিক কর্মসমৃদ্ধ ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারী’ শিরোনামে কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় একটি প্রস্তুত করা হয়।
[৪] এসময় সাবেক অতিরিক্ত সচিব, লেখক, গবেষক ড. মোহাম্মদ আলী, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক আসলাম মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসাঃ তাসলিমা আলীসহ জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, সহকারী কমিশনার (ভূমি)গণসহ উপস্থিত ছিলেন।
[৫] গ্যালারীতে ফরিদপুরের ইতিহাস ও রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত গ্রন্থসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশ বরেণ্য লেখক, কবি ও সাহিত্যিকদের বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ সংক্রান্ত গ্রন্থের এবং ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনার অডিও ও ভিজুয়াল উপস্থাপনার সন্নিবেশ ঘটানো হচ্ছে। এই গ্যালারীর মাধ্যমে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও জ্ঞানপিপাসু জনগণ একদিকে যেমন বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে; অপরদিকে সচিত্র ডিজিটাল উপস্থাপনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাণবন্ত প্রতিচ্ছবি পর্যবেক্ষণেরও সুযোগ পাবেন।
[৬] উল্লেখ্য, মুজিববর্ষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতি বিজড়িত ফরিদপুর জেলার প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা পরিষদের নিজস্ব জায়গায় অথবা উপজেলা পরিষদকে ঘিরে মুজিববর্ষ পার্ক নামে দৃষ্টিনন্দন পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ জেলার কয়েকটি উপজেলায় প্রায় সমাপ্তির পথে। এর ফলে উপজেলা পরিষদে আগত সেবাপ্রত্যাশীরা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে সেবা গ্রহণের পাশাপাশি একটি সুন্দর পরিবেশ উপভোগেরও সুযোগ পাবেন।
[৭] অনুরূপভাবে এ জেলার ৮১ টি ইউনিয়ন পরিষদে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে অব্যবহৃত কোন কক্ষে অথবা ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় নিজস্ব অর্থায়নে একটি দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট “বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ গণগ্রন্থাগার নামে একটি করে লাইব্রেরি গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন গ্রন্থের সংস্থান থাকবে যাতে করে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও জ্ঞান পিপাসু জনগণ সহজেই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারছে। ইতোমধ্যে ০৮ টি ইউনিয়নে এই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বিকাশের পথকে অধিকতর অবারিত করবে মাদক, সন্ত্রাস ও ধর্মান্ধতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি