রাশিদুল ইসলাম : [২] ফোর্বস ম্যাগাজিনের সর্বশেষ সংখ্যা বলছে কমলা হ্যারিস ও তার স্বামী ডগলাস এমহফের যৌথ পোর্টফোলিওতে দেখা যাচ্ছে, লস এঞ্জেলস ও ওয়াশিংটনে তাদের বাড়ি আছে। এছাড়া ১০ লাখ ডলারের দু’টি পেনশন প্রকল্প কিনেছেন তারা। এমহফের রিটায়ারমেন্ট অ্যাকাউন্ট আছে ১২ লাখ ডলারের। কমলার সম্পত্তির পরিমাণ ৭০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় তার পরিমাণ অর্ধশত কোটি টাকার বেশি।
[৩] ১৯৮৯ সালে আইনের ডিগ্রি লাভ করার পরে কমলা আলামেডা কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিসে কাজ করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি সানফ্রানসিস্কোয় জেলা অ্যাটর্নির অফিসে চাকরি পান। ওই সময় তিনি ৩ লাখ ডলার দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। গত মার্চে সেই ফ্ল্যাটটি তিনি ৮ লাখ ৬০ হাজার ডলারে বিক্রি করেন।
[৪] ২০০৩ সালে তিনি প্রথমবার ভোটে দাঁড়ান। ভোটে জিতে তিনি হন সানফ্রানসিস্কোর জেলা অ্যাটর্নি। তার ট্যাক্স রিটার্ন অনুযায়ী, ২০০৪ সালে তিনি রোজগার করেছিলেন ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। ২০১০ সালে তিনি ভোটে জিতে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হন। এর আগে কোনও কৃষ্ণাঙ্গ ওই পদ পাননি।
[৫] ২০১৫ সালে কমলা সিনেট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তখন তাকে নিজের সম্পত্তির বিস্তারিত হিসাব দাখিল করতে হয়েছিল। তখন কমলা ও তার স্বামীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০ লাখ থেকে ৩৯ লাখ ডলারের মধ্যে।
[৬] ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে কমলার সম্পত্তির পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় তার স্মৃতিকথা ‘দ্য ট্রুথস উই হোল্ড’। যুক্তরাষ্ট্রে সেই বই বিক্রি হয় ২ লাখ কপি।