রুবেল মজুমদার: [২] কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হত্যা মামলাসহ ৩০ মামলার আসামি মো. রেজাউল করিমকে (৩৪) কুমিল্লা গোলাবাড়ি পোস্ট থেকে আটক করেছে বিজিবি।
[৩] শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় তাকে আটক করা হয়। সে সদর দক্ষিণ উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে। এসময় তার সঙ্গে থাকা অপর দুই সহযোগীকেও আটক করা হয়। আটক দুই সহযোগী সদর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও একই গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে মো. শাহিন।
[৪] আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি ম্যাগাজিন গুলি, ১৬ পিস ইয়াবা, নতুন ধরনের ভারতীয় ১ প্যাকেট কৌটা মাদক, ভারতীয় পরিচয়পত্র ৩টি, ভারতীয় ইউসিবি ব্যাংকের ২টি ডেবিট কার্ড, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার ৭টি কার্ড পাওয়া যায়।
[৫] কুমিল্লা-১০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোতয়ালি থানার আওতাধীন সীমান্ত পিলার ২০৮২/৭ এস হতে ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেরানী নগর (সাজু মেম্বারের বাড়ি) স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় প্রথমে দুজন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে অটোরিকশায় দেখতে পাওয়া যায়। এসময় তাদেরকে এ স্থানে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় তাদের একজন সঙ্গী সাজু মেম্বারের বাড়ি হতে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। তারা ওই ব্যক্তির ফেরত আসার অপেক্ষায় আছে। পরবর্তীতে রাত ১টায় বিজিবি টহল দল ভারত হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশরত এক ব্যক্তিকে দেখতে পায় এবং তাকে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় ওই ব্যক্তি ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল তাকে ধাওয়া করে এবং একটি ব্যাগসহ আটক করতে সক্ষম হয়। রেজাউল বাংলাদেশে হত্যা, রাহাজানি এবং ধর্ষণের ন্যায় নানাবিধ অপকর্মে লিপ্ত আছে।
[৬] দেলোয়ারের স্ত্রী জিলহজ্ব আক্তার বলেন, আসামি রেজাউলকে গ্রেপ্তার করেছে এর জন্য এলাকাবাসী অনেক সন্তুষ্ট। রেজাউল এর অত্যাচারে এলাকার মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে না।আমি আমার স্বামীর হত্যাকারী রেজাউল এর ফাঁসি চাই।
[৭] কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মাদ রেজাউর রহমান বলেন, আমরা তার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। শনিবার বিকালে ৪টায় রেজাউল করিম ও তার দুই সহযোগীকে অস্ত্র ও মাদকসহ কুমিল্লায় কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর রেজাউলের গ্রামের লোকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
[৮] নাম না প্রকাশ করার শর্তে অন্তত কুড়িজন গ্রামবাসী জানান, রেজাউল ধরা পড়েছে খুশি হয়েছি। তবে যদি সে আবার জেল থেকে ছাড়া পায় তাহলে আরো হত্যাকাণ্ড ঘটবে।
[৯] কোতয়ালি মডেল থানা পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, রেজাউলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে আরো দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :