শরীফ শাওন: [২] বাংলাদেশের তৈরি পোশাকখাত এবং বস্ত্র কারখানাগুলো থেকে ২০১৯ সালে ৫৭৭,০০০ টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়েছিলো। যার প্রায় অর্ধেকই (২৫০,০০০ টন) ছিলো সম্পূর্নরূপে তুলার বর্জ্য। রিসাইক্লিং বাজারে যা ১০০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করা যেতো।
[৩] বুধবার ভার্চুয়ালি গ্লোবাল ফ্যাশন এজেন্ডা এর নেতৃত্বে গৃহীত সার্কুলার ফ্যাশন পার্টনারশীপ শীর্ষক প্রকল্পটির গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একই সময় দেশে ১.৬৩ মিলিয়ন টন স্ট্যাপল কটন ফাইবার (৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যে) আমদানি হয়েছিলো। শতভাগ তুলার বর্জ্য দেশের ভিতর রিসাইকেল করে বাংলাদেশ প্রায় ১৫ শতাংশ আমদানি হ্রাস করতে পারে, এতে অর্ধ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় সম্ভব।
[৪] বাংলাদেশে সার্কুলার সিস্টেম বাস্তবায়নের সুবর্ন সুযোগ রয়েছে জানিয়ে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ফাইবার আমদানির উপর অত্যধিক নির্ভরশীল।
[৫] বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গ্রহের অস্তিত্ব আজ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আমাদেরকে অবশ্যই অবস্থান পরিবর্তন করে ফ্যাশন সার্কুলার এর লীনিয়ার ইকোনোমিক মডেলে যেতে হবে। এটাই আমাদের ভবিষ্যত এবং এ বিষয়ে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
[৬] পার্টনারশীপ প্রকল্পটি উৎপাদন পরবর্তী ফ্যাশন বর্জ্যকে পুনরায় নতুন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা দানের মাধ্যমে বাংলাদেশের রিসাইক্লিং ইন্ডাষ্ট্রিকে সহায়তা করছে। প্রকল্পটি কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে রপ্তানিতব্য তৈরি পোশাক পণ্যের যে ডেডস্টক হয়েছে, সেগুলো সমাধানে বাংলাদেশে বস্ত্র এবং পোশাক প্রস্তুতকারক, রিসাইকেলারস এবং ফ্যাশন ব্র্যান্ডদের মধ্যে সহযোগিতার যোগসূত্র স্থাপন করে দিচ্ছে।
[৭] সার্কুলার ফ্যাশন পার্টনারশীপ একটি ক্রস সেক্টরিয়াল প্রকল্প এবং এতে অংশীদার হিসেবে যুক্ত রয়েছে রিভার্স রিসোর্সেস ও বিজিএমইএ। প্রকল্পে পিফোরজি (চ৪এ) সমর্থন দিচ্ছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রকল্প উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত ৫০ এরও অধিক ব্র্যান্ড, ম্যানুফ্যাকচারার, রিসাইকেলার এবং এনজিও প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য স্বাক্ষর করেছে। ফ্যাশন কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বশেষ বনেটন, ফ্যাশন কিউব, জিমহার্ক, কিবি, নেক্সট, প্রাইমার্ক এবং দি ভেরি গ্রুপ প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :