আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা, নাভালনি, সামরিকরণের শঙ্কা আর হ্যাকিং নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেই প্রথমবারের মতো বৈঠক করলেন বাইডেন ও পুতিন । স্থানীয় সময় দুপুর ১.৪৪ মিনিটে শুরু হয় সম্মেলনের প্রথম বৈঠক। আর এটি শেষ হয় ৩টা ১৭ মিনিটে। সব মিলিয়ে এর দৈর্ঘ্য ছিলো ৯৩ মিনিট। যা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১৩ মিনিট বেশি। এর পর কিছু সময় বিরতীয় দিয়ে শুরু হয় ম্যারাথন ২য় বৈঠক। সিএনএন
[৩] তবে বৈঠকের অর্ন্তবর্তীকালীন সময় বা শেষে কোনও যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেননি মার্কিন ও রুশ প্রেসিডেন্ট। বৈঠক হয়েছে রুদ্ধদ্বার। প্রথম দফায় দুই প্রেসিডেন্ট শুধু ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের নিয়ে অংশ নিলেও পরের দফায় অংশ নেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য কর্মকর্তারাও। ভেতরে ছিলো না কোনও ধরণের ক্যামেরা। বিবিসি
[৪] বৈঠকের শুরুতে জো বাইডেন ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে বলেন, তারা আরও ভারসাম্যপূর্ণ আর স্থিতিশীল সম্পর্ক স্থাপনে একযোগে কাজ করবেন। এর আগে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র সবসময়েই মস্কোর বৈশ্বিক ভুমিকাকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করেছে। এর আগে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের সময় ওয়াশিংটন রাশিয়াকে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে অভিহিত করেছিলো। বাইডেন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, মুখোমুখি হওয়া সবসময়েই ভালো। পুতিন বলেন, এই বৈঠক ফলপ্রসু হবে। দ্য ড়ার্ডিয়ান
[৫] এর আগে, বৈঠক শুরুর আগে মার্কিন ও রুশ প্রেসিডেন্টকে ‘শান্তির শহরে’ স্বাগত জানান সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট গে প্রেমেলিন। প্রেমেলিন বলেন, ‘সুইজারর্যান্ড এই সম্মেলন আয়োজন করে সম্মানিত ও আনন্দ বোধ করছে। আমাদের ঐতিহ্য এধরনের কাজ করা। আমি দুই প্রেসিডেন্টকে একটি সফল সম্মেলনের জন্য শুভকামনা জানাই।’