শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ১৫ জুন, ২০২১, ০৪:৫৬ সকাল
আপডেট : ১৫ জুন, ২০২১, ০৪:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরিফ জেবতিক: সংসদীয় কমিটি নারী ইউএনও’র স্থলে একজন পুরুষ দিয়ে গার্ড অব অনার দেওয়ার যে কথা তুলেছেন, আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই

আরিফ জেবতিক: আমি অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার জানাজায় অংশ নিয়েছি। জানাজার সাথে রাষ্ট্রীয় স্যালুটের কোনো সংশ্রবও দেখিনি, সংঘাতও দেখিনি। জানাজা একটি ধর্মীয় কর্তব্য। ইউএনও কিংবা থানার ওসি গিয়ে মুক্তিযোদ্ধার জানাজা পড়ান না, বরং স্থানীয় আলেম অথবা মৃত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ কোনো যোগ্য আত্মীয় জানাজা পড়ান।

জানাজা শেষ হওয়ার পর প্রশাসনের লোকজন গিয়ে জাতীয় পতাকা কফিনের ওপর রাখেন, তারপর থানার পুলিশরা সশ্রদ্ধ স্যালুট দেন। স্যালুটের পর তাঁরা আবার জাতীয় পতাকাটি কফিন থেকে তুলে সুন্দর করে ভাঁজ করে সরে যান। এখানে ধর্মীয় বা সামাজিক কোনো রীতিনীতিতে কোনো সমস্যা হয় না।

আমি একবার দেখেছি যেখানে প্রশাসনের নারী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। আমার বন্ধু টিপুর শ্বশুর, যিনি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা পুলিশ অফিসার ছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর মিরপুরে জানাজায় রীতি অনুযায়ী সরকার থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। সেখানে একজন সিভিল প্রশাসনের নারী কর্মকর্তা (ইউএনও কী না আমি জানি না) উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানাজায় অংশও নেননি, প্রশাসনের চেয়ারের গরম দেখিয়ে কোথাও হম্বিতম্বিও করেননি। জানাজা চলাকালীন সময়ে তিনি একটু দূরত্বে পরিবারের নারী সদস্যদের পাশে সুন্দরভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং পুলিশ বাহিনীর গার্ড অব অনার দেওয়ার পরে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পন করেছিলেন। সেই জানাজায় উপস্থিত প্রায় অর্ধ হাজার মানুষের কেউ তাঁকে ভিন্নভাবে দেখেছে বা অস্বস্তিতে পড়েছে-এরকম আমার মোটেও মনে হয়নি।

সংসদীয় কমিটি নারী ইউএনও’র স্থলে একজন পুরুষ দিয়ে গার্ড অব অনার দেওয়ার যে কথা তুলেছেন, আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কোনো মুক্তিযোদ্ধা যদি মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার নিতে না চান, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ইসলাম ধর্মে গার্ড অব অনার দেওয়ার কোনো রীতি নেই, যে কারও অধিকার আছে তাঁর নিজ ধর্মের রীতিতে নেই এমন কিছুর সঙ্গে না জড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কিন্তু গার্ড অব অনার একটি সুন্দর জিনিস। রাষ্ট্র তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শেষ যাত্রায় ভালোবেসে, সম্মান জানিয়ে বিদায় জানায়। এই সুন্দর জিনিসটিকে যাতে কেউ বিতর্কিত না করে, সেটা দেখার দায়িত্ব সবার।

লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়