আব্দুম মুনিব: [২] কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে মা-ছেলেসহ তিন খুনের মামলার আসামি পুলিশের এএসআই সৌমেন রায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে আসামি সৌমেন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত নিশিকান্ত সরকার।
[৩] এর আগে সোমবার দুপুর সোয়া ১টায় কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের ডিবি কার্যালয় থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে তাকে আদালতে নেয়া হয়।
[৪] এদিকে সৌমেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) ফরহাদ হোসেন খান জানান, তার স্ত্রী আসমার সঙ্গে শাকিলের পরকীয়া প্রেমেরে সম্পর্কে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। রোববার ভোরে তিনি খুলনা থেকে বাসযোগে কুষ্টিয়ায় আসেন। এ সময় তিনি সার্ভিসের জন্য পাওয়া রিভলভার ও দুটি ম্যাগজিনে ১২টি গুলি সঙ্গে নিয়ে আসেন। পুলিশ সুপার আরও জানান, বেলা ১১টার দিকে সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তিনি ৩ জনকে গুলি করেন। একটি ম্যাগজিনের গুলি শেষ হয়ে গেলে আরেকটি ম্যাগজিন ব্যবহার করেন।
[৫] অপরদিকে নিহত আসমা খাতুন, তার ছেলে রবিন ও পরকীয়া প্রেমিক শালিক খানের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৬] তিনি জানান, ময়না তদন্ত শেষে রোববার রাত ১২টার পর স্ব স্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শাকিলের মরদেহ তার বাবা মেজবা রহমানের কাছে এবং আসমা খাতুন ও তার ছয় বছর বয়সী ছেলের মরদেহ মা হাসিনা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
[৭] নিহতদের পারিবারিক সূত্র জানায়, বাদ জোহর নিহত আসমা খাতুন ও তার ছেলে রবিনের জানাজা শেষে নিজ গ্রাম কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের নাতুড়িয়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। অন্যদিকে নিহত শাকিল খানের নিজ গ্রাম কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাঁওতা কারিগর পাড়া গ্রামের মেছের উদ্দিন দারুল উলুম কওমি মাদরাসায় বাদ জোহর জানাজা শেষে সাঁওতা কারিগর পাড়া গোরস্থানে দাফন করা হয়। এই তিন হত্যার ঘটনায় খুলনা ফুলতলা থানার এএসআই সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামি করে রোববার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বিরুল আলম। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ