শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২১, ০২:০৫ রাত
আপডেট : ১২ জুন, ২০২১, ০২:০৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মো. সামসুল ইসলাম : বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং এবং ভবিষ্যৎ চাহিদা

মো. সামসুল ইসলাম : প্রতি বছর ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দুরবস্থা প্রকাশিত হয়, আর সাধারণ জনগণ বেশ মুষড়ে পড়েন। QS World Ranking ২০২২ য়ে দেশের দুইটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটের অবস্থান আটশ থেকে হাজারের মধ্যে এবং দুটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক এবং এনএসইউ’র অবস্থান হাজার থেকে বারোশ’র মধ্যে। বিশ্বমানের দিক থেকে আমাদের অবস্থান ধর্তব্যের মধ্যেই পড়ে না। সুতরাং সবাই হতাশ হতেই পারেন।

তবে আমি আগেও লিখেছি যে সমস্ত সূচকের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের র‌্যাংকিং করা হয়, তাতে আগামী কয়েক বছরে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাটকীয় কোনো উন্নতি হবে না। রেপুটেশন, সাইটেশন, স্টুডেন্ট ফ্যাকাল্টি অনুপাত, বিদেশি স্টুডেন্টদের অনুপাত ইত্যাদির ভিত্তিতে যে র‌্যাংকিং করা হয় অদূর ভবিষ্যতে এর ফলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ের রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবছর হা-হুতাশ না করে আমি মনে করি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দেশের চাহিদার কথা মনে করে কারিকুলামে ব্যাপক পরিবর্তন আনা।

পুরনো প্রোগ্রামগুলোকে নাম পরিবর্তন করে সময়োপযোগী করা। কম মেধাবী, অপ্রয়োজনীয়, দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বিদায় করে অর্থের সাশ্রয় করা উচিত, যখন শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ছে না। যখন প্রতিদিনই দেশের মিডিয়ায় ভিসিদের বা শিক্ষকদের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হয়, তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর দিতে বলা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। দুর্নীতি তো আর ভিসি একা করেন না। তার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন অন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরাও। আমি বুঝতে পারি না একজন শিক্ষক তো রাজনীতি করতেই পারেন, কিন্তু সেই সঙ্গে তাকে দুর্নীতিগ্রস্ত হতে হবে কেন?

আমরা আসলে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য বা দর্শন হারিয়ে ফেলেছি। দেশে ইউনিভার্সিটির সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু শিক্ষা প্রশাসনে অভিজ্ঞ লোক বাড়ছে না। ব্যাপারটা এরকম দেশে অনেক শিক্ষাবিদ আছেন কিন্তু শিক্ষা বিশেষজ্ঞ নেই। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিকরণ, স্বজনপ্রীতি আর দুর্নীতি। ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে। সাংবাদিক বন্ধুদের আমি অনুরোধ করবো, র‌্যাংকিং নিয়ে কিছুদিন পরপর ঘাঁটাঘাঁটি না করে দেশের ভবিষ্যৎ চাহিদার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাতে গড়ে উঠে সেগুলো নিয়ে রিপোর্ট করুন। সূচকগুলো ধরে ধরে ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দুর্বলতা সনাক্তকরণে সাহায্য করুন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগে তার গ্রাজুয়েটদের চাকরির উপযুক্ত করে তুলুক, দেশের ভবিষ্যতের চাহিদার কথা মাথায় রাখুক র‌্যাংকিং এর বিষয়টি স্বল্পসময়ের জন্য ভুলে যাওয়াই ভালো। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়