শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০২১, ০৪:০৫ দুপুর
আপডেট : ১১ জুন, ২০২১, ০৪:০৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ক্রেতা সংকটে রাজশাহীর আমের হাট বাজারগুলো, কমেছে দামও

মঈন উদ্দীন: [২] বাজারগুলোতে গোপালভোগ, খিরশাপাত ও ল্যাংড়া জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে। তবে ক্রেতা সংকটে কমেছে এসব আমের দাম।

[৩] প্রতিমণে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে। উত্তরের দ্বিতীয় বৃহৎ আমের হাট বানেশ্বরে এমন অবস্থা চলছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রেতারা বলছেন- হাটে প্রচুর আম আমদানি হচ্ছে। সেই তুলনায় ক্রেতা কম। তাই আম বিক্রি করতে হচ্ছে অল্প দামে। একই অবস্থা জেলার অন্যান্য হাটগুলোতেও। এতে চাষি ও বাগান কেনা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

[৪] আম ব্যবসায়ী হাসান আলী জানান, বৃহস্পতিবার বানেশ্বর হাটে ল্যাংড়া আম বিক্রি হয়েছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা মণ দরে। এছাড়া খিরশাপাতি ১৪০০ থেকে ১৮০০ টাকা মণ ও গোপালভোগ ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। তিনি আরও জানান, ‘মঙ্গলাবার ও বুধবার এই আম বর্তমান দামের চেয়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন হাটে প্রচুর আম আমদানি হচ্ছে। তবে ক্রেতা তেমন নেই। এমন অবস্থায় নামানো আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে উপকৃত হতো চাষী ও বাগান কেনা ব্যবসায়ীরা।’

[৫] অন্যদিকে, বানেশ্বর হাটে ক্রেতা সংকট থাকলেও রাজশাহীর অন্যসব আমের বাজার তুলনামূলকভাবে বেচাবিক্রি ভালো ছিল। নগরীর বাজারগুলো দখলে নিয়ে গোপালভোগ, হিমসাগর (খিরশাপাত) ও লক্ষণভোগ।

[৬] তবে কিছু গুটি জাতের আমও পাওয়া যাচ্ছে হাট-বাজারে। এই আমগুলো ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা মণ দরে কেনা-বেচা হচ্ছে। তবে গোপালভোগ ও হিমসাগর আম ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় প্রথমে রয়েছে। আর দামে কম হওয়ায় অনেকেই কিনছেন লক্ষণভোগ আমও।

[৭] ব্যবসায়ীরা বলছেন- গোপালভোগ আম শেষ পর্যায়ে। আর কয়েকদিন গেলে এই আমটি পাওয়া যাবে না। তখন বাজার দখলে নেবে ল্যাংড়া ও লক্ষণভোগ। তার পরে আম্রপালি ও ফজলি। তবে ফজলির চেয়ে শেষ পর্যন্ত বাজারে থাকবে আশ্বিনা আম। হরিয়ান এলাকার আম ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, বানেশ্বরহাটে জাতের আম বলতে গোপালভোগ আছে। খেতেও ভালো, তাই দামও বেশি। কেনা-বেচার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘দূরের ব্যবসায়ী কম আসছে।

[৮] করোনা ভাইরাসের কারণে অন্য জেলা ও বিভাগেরগুলোর কম ব্যবসায়ী আসছেন বানেশ^রে। তারা স্থানীয় ও পাইকারদের থেকে আম কিনছেন। আম ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম জানান, লকডাউনের কারণে তারা বেশি রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে পারছেন না। আর ক্রেতাও কম। তাই বেশি আম কিনলে নষ্ট হয়ে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। আর অনেকেই অনলাইনে আম কিনছেন। তাই আমের দোকনগুলোতে চাপ কম।

[৯] হাটে আম কিনতে এসেছিলেন চারঘাট মুগলির বাসিন্দা রকিবুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরই তিনি এ হাট থেকে আম কিনেন। তিনি ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠান। কিন্তু এবার দাম বেশি মনে হচ্ছে তার। অনলাইনে আম বিক্রেতা মনিরুজ্জামান বলেন, আমের ক্রেতা কম। অর্ডার পাচ্ছি কম। কোনো দিন ফাঁকাও যাচ্ছে। দূর-দূরান্তের আম ব্যবসায়ীরা আছেন কম। প্রথম দিকে প্রতিদিন চার থেকে ৬ মণ আমের অর্ডার পেয়েছি। কিন্তু কয়েক দিনে অল্প পাচ্ছি।

[১০] আমের দাম কমার বিষয়ে তিনি বলেন- ব্যবসায়ীরা ১৫ থেকে ২০ মণ আম বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন। ক্রেতা কম থাকায় সব আম বিক্রি সম্ভব হয়না। তখন মণপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা কম দামে বিক্রি করতে হয়। ট্রাক চালক আবুল কালাম জানান- ‘আমের ট্রিপ চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেটে নিয়ে যায়। করোনার আগে সপ্তায় দুইটা-তিনটা ট্রিপ হতো। এবছর সপ্তায় একটি করে ট্রিপ হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আম কম পাঠাচ্ছেন।’ বানেশ্বর হাটের ইজাদার ওসমান আলী জানান, আম ক্রেতা কিছুটা কম। দামও কম যাচ্ছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়