রাশিদুল ইসলাম : [২] পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন বাংলাদেশের স্বীকৃতি পেতে ইসরায়েল বারবার অ্যাপ্রোচ করলেও আমরা এখনও ওদের স্বীকৃতি দেইনি। যদিও তারা বারবার আমাদের অ্যাপ্রোচ করেছে। আমরা আমাদের ভাইদের জন্য, যে অত্যাচার তাদের ওপর হচ্ছে, এটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ওদের সাথে আমাদের সম্পর্ক হবে না।
[৩] বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির ফিলিস্তিনকে দেয়া ঔষধ সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মোমেন বলেন, ফিলিস্তিন আমাদের বড় বন্ধু। আমরা বিশ্বাস করি যতদিন স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন না হবে আমরা ততদিন তাদের সাথে আছি। তাদের অকুপেশন আর্মিকে আমরা কখনো গ্রহণ করবো না।
[৪] তিনি বলেন বাংলাদেশ আশা করে ফিলিস্তিন একদিন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হবে। আমরা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন দু রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানে বিশ্বাস করি, যা হবে ৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে। আশা করি ফিলিস্তিনিদের দুর্গতি একদিন দূর হবে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন এবারের কোভিড পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীনসহ অনেক দেশের জন্য বাংলাদেশ তার সাধ্যমত সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। কিন্তু তিনি বলেন ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকাটা ছিল অন্যরকম। ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রে সরকার ও জনগণ উভয়ই সাহায্য করেছে। কারণ ফিলিস্তিনে দখলদার বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনের ব্যথা আমরা অনুভব করি।
[৫] অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনের বিষয় নিয়ে শিগগিরই ঘোষণা হবে কিন্তু কোন্ প্রতিষ্ঠান সেটা করবে তা নির্ভর করবে বিদেশি টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর। তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্র, যেসব দেশে মৃত্যু হার বেশি তাদেরকে টিকা সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতি ততটা খারাপ নয় বলেই তারা সেই সহায়তা বাংলাদেশকে দিচ্ছে না। তারপরেও সরকারের চেষ্টা অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি বলেন ১৩ই জুন চীন থেকে ছয় লাখ ডোজ টিকা আসবে।