শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ০৮ জুন, ২০২১, ০৫:১২ বিকাল
আপডেট : ০৮ জুন, ২০২১, ০৫:১২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কামরুল হাসান মামুন: আসলে অ্যাচিভমেন্ট কি?

কামরুল হাসান মামুন: নিজে অনেক পড়াশুনা করলাম, অনেক বড় চাকরি বা ব্যবসা করলাম, অনেক টাকা কামাইলাম এইটা কি অ্যাচিভমেন্ট? এইগুলা ব্যক্তিগত অ্যাচিভমেন্ট যা দিয়ে বড়জোর কোর ফ্যামিলির কয়েকজন নিয়ে ভালো খাওয়া যায়, ভালো বিছানায় ঘুমানো যায়, ভালো ভালো কাপড় পরা যায়। এইগুলাই যদি অ্যাচিভমেন্ট হইত তাহলে বাংলাদেশের অনেক ধনী মানুষ এই দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যেত না। অ্যাচিভমেন্ট হলো আপনি আপনার পরিবেশকে পরিবর্তন করে সকলের বসবাস যোগ্য করতে কতটা কান্ট্রিবিউট করতে পেরেছেন সেইটা। আসল অ্যাচিভমেন্ট হলো নিজের পার্সোনাল অ্যাচিভমেন্টের পরে আপনি কতজনকে অ্যাচিভমেন্ট করতে সাহায্য করতে পেরেছেন সেইটা।

আর্মি পিঁপড়া দেখেছেন? এরা অন্যের তরে অকাতরে নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে পারে। ফলে এরা সফল। পুরো আর্মি পিঁপড়ার দলকে একটা শরীর বলা যায় আর একেকটা পিঁপড়া হলো আমাদের শরীরের একেকটা কোষ। সকল কোষের উদ্যেশ্য হলো পুরো শরীরকে সুস্থ্য রাখা। অনেকেই ন্যাশনালিজমকে পছন্দ করে না। তারা ন্যাশনালিজমকে পছন্দ না করলেও নিজের পরিবারের সদস্যদের অন্য সকল মানুষের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। ন্যাশনালিস্টিক আইডিয়ার মুলেতো পরিবার, পরিবারের পর এক্সটেন্ডেড পরিবার, তারপর গ্রাম, তারপর উপজেলা এবং এইভাবে দেশ। আমার বেড়ে উঠার পেছনে কোর কান্ট্রিবিউশন যেমন আমার পরিবারের তেমনি আছে আমাদের দেশের আপামর মানুষের। আমরা যেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাই, যেই স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি ইত্যাদি কোন কিছুই একা আমার না। সকলের কান্ট্রিবিউশন দিয়ে আমরা একেকজন বড় হই। বড় হয়ে সকলেরই এই ঋণটুকু পরিশোধের দায় থাকে।

কিন্তু আমি এই দেশের দিকে যতই তাকাই দেখি একটা শ্রেণীর মানুষ আছে তারা কেবলই অকৃতজ্ঞ না বরং কৃতঘ্ন। একটা শ্রেণী আছে যারা এই দেশের সাধারণ মানুষের খেয়ে, তাদের রাস্তায় চলে তাদের কান্ট্রিবিউশনে বড় হয়ে তাদের পিঠেই চুড়ি মারে। কারা দুর্নীতি করে? কারা চুরি করে অর্থ পাচার করছে? এইসব করে কি আপনাদের সন্তানদের জন্য ভালো থাকার পরিবেশ গড়ছেন? আপনি নিজে হয়ত কিছু মানুষকে ঠকাচ্ছেন। ভাববেন না আপনি একাই বেশি চতুর। আপনিও অনেক চতুর মানুষ দ্বারা প্রতারিত হবেন। তাই দেশকে ভালোবাসুন। দেশকে গড়ে তুলুন দেখবেন আপনি ভালো থাকবেন এবং তারচেয়ে বেশি ভালো থাকবে আপনার সন্তান।

লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। (ফেইসবুক পোস্ট থেকে সংগৃহিত)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়