খাদেমুল বাবুল: [২] জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ২৬ কিলোমিটার এলাকা ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ২০০৯ সালে সরকার যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প নামে ২০০৯ সালে প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার।
[৩] জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ইতোমধ্যে প্রকল্পের সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু যমুনার তীরবর্তী বাল সন্ত্রাসীরা তীর সংরক্ষণ এলাকায় যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রকল্পটির হুমকির মুখে পড়েছে।
[৪] সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার দেওয়ানগঞ্জ-ইসলামপুর-মাদারগঞ্জ-সরিষাবাড়ী উপজেলায় প্রায় শতাধিক স্পটে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের অদূরে রাখা হচ্ছ।
[৫] যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের নিকট বিশাল বিশাল অবৈধ ভোলগেট স্থাপন করে বালু উত্তোলন করায় ভোলগেটের শক্তিশালী মেশিনের কম্পন ও বাঁধের উপর দিয়ে বালুর ট্রাক চলাচল করায় যমুনা তীর সংরক্ষণ বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ভোলগেটের নোঙ্গর এর সাথে টেনে তোলা হচ্ছে জিওটেক্সটাইলের বালুর বস্তা।
[৭] জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা ও বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে। আবারও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান