মাসুদ আলম: [২] সোমবার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ২০১৮ সাল থেকে রাজধানীর মিরপুর-২ এর ৬০ ফিট এলাকায় তিনটি ওয়ার্ডের দেড় হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে দুই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস বিল নিয়েছিলেন ওমর ফারুক। গ্যাস বিল ছাড়াও বিদ্যুৎ ও পানির বিল নিয়েছে ওমর ফারুকের এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ইন্টার্ন ব্যাংকিং অ্যান্ড কমার্স। গ্রাহকরা পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস বিল জমা দিলেও দু’বছরের গ্যাস বিল জমা না দিয়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন ওমর ফারুক। দেড় বছর পর চলতি বছরের গত জানুয়ারিতে তিতাস মাইকিং করে জানায় তারা বিল পায়নি।
[৩] তিনি আরও বলেন, রোববার গভীর রাতে তিতাসের বিল আত্মসাৎকারী ও জালিয়াতির মূলহোতা ফারুককে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থেকে গ্রেপ্তার করে রাব-৪। গত ২৩ জানুয়ারি ইন্টার্ন ব্যাংকিং অ্যান্ড কমার্সসহ তিনটি অফিস তালাবদ্ধ করে তিনিসহ তার অন্যান্য সহযোগীরা আত্মগোপনে চলে যান।
[৪] অধিনায়ক বলেন, এছাড়া এমএলএল ব্যবসার নামে গ্রহকদের অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করেন ফারুক । এছাড়া ‘নব ক্যাশ’ নামক একটি সেবা চালু করে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। ২০০৯ সালে নোয়াখালীর কবিরহাট থেকে এসএসসি পাশ করেন। পরে ২০১৪ সালে ঢাকায় এসে বিকাশের দোকানে চাকরি শুরু করে। ২০১৫ সালে নিজেই বিকাশের ব্যবসা শুরু করেন। বিভিন্ন ব্যাংকের তার ৫টির বেশি অ্যাকাউন্ড রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :