চৌধুরী হারুনুর রশীদ: [২] জেলা কয়েকদিনে ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা। সভায় জেলা প্রশাসক দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটির সকল সদস্যদের বলেন, সরকারি ছুটিতে ও কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করবেন না। সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্যোগকালিন সময়ে কর্মস্থলে থাকার কঠোর নিদের্শনা দিয়েছেন।
[৩] বিগত দিনে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ণ এলাকায় নতুন কেউ যেন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও শহরের মধ্যে ঝুকিপূর্ণ বিল্ডিং সনাক্ত করতে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।জানমালের ক্ষতি সাধিত হওয়ার আগেই দুর্যোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাখে লোকজনদের আশ্রয় কেন্দ্রে ও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে প্রস্তাব গৃহীন হয়।
[৪] জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আরো বলেন,সামনে দুর্যোগের আশংকা অনেক বেশী। বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেছে। ইতি মধ্যে দুর্যোগে ঝুকিপূর্ণ ৩৩ স্থান চিহিৃত করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় ২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রায় ৫হাজারের অধিক পরিবার ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে।
[৫] এ সংক্রান্ত ব্যাপার গত শনিবার ও রবিবার ২ দফায় জেলা দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটির সভা অনুষ্টিত হয়েছে। দুর্যোগকালিন সময়ে স্কুল কলেজ গুলো খোলা রাখতে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অবগত করা হয়েছে। আমরা যার যার স্থান থেকে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি। উপজেলা পর্যায়ও ইউএনওরা প্রস্তুতি নিয়েছেন।পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের সকল কাউন্সিলরগণ প্রস্তুতি থাকার আহবান জানান।
[৬] উল্লেখ্য ,প্রস্তুতি সভায় চমৎকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । বাস্তবে কার্যকর করতে পারে না ,স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অসহযোগিতার কারণে । চম্পক নগর এলাকায় ঝুকিপুর্ণ ব্রীক ওয়াল ওপর ছালের বৃষ্ট্রির পানিতে যে কোন মুর্হতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটানোর আশংকা করা হচ্ছে ।
[৭] এই বিষয়ে রাঙামাটি পৌরসভার প্রকৌশলী ও শহর পরিকল্পনাবিদ ঝৃুকিপুর্ণ ওয়াল সরিয়ে নেওয়ার নোটিশ প্রদান করেন।
[৮] একই এলাকায় ১৩ জুন ২০১৭ সালে পরিবার পরিকল্পনা নতুন ভবনের আরসিসি ওয়াল বৃষ্ট্রির পানি পড়ে ধসে ভেঙ্গে যায়। তার আগে একই এলাকায় মরহুম গাজী মো: ডা.মহসিন কাচা ঘরে পাশে মাটি ধসে এক নারীর মৃত্যু হয় এবারও ভারী বর্ষণে রাঙামাটি চম্পক মোড়ে সড়কের পাশে ড্রেন না থাকায় ধসে । সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ