মনিরুল ইসলাম: [২] স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক করোনা মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, ওষুধের কোনো ঘাটতি হয়নি। অক্সিজেনের অভাব কখনোই হয়নি। আমেরিকায় যে চিকিৎসা, এখানেও একই চিকিৎসা হয়েছে। টিকা কার্যক্রম চলমান। এসব কারণে মৃত্যুর হার দেড় শতাংশ। পৃথিবীতে এই হার আড়াই শতাংশ।
[৩] তিনি বলেন, বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে খুবই সফলতা দেখিয়েছে । ফলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশ । স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের ছাড়া দেওয়া হয়নি বলেও মন্তব্য তার।
[৪] সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সম্পূরক বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খাতে মঞ্জুরি দাবির উপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় সংসদ সদস্যদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি এসব কথা জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
[৫] স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় আমরা কিন্তু মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সারা দেশে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে। বন্দরে স্ক্যানারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা উপজেলা পর্যায়ে ছয় হাজারের মতো আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। মাত্র একটি ল্যাব ছিল, এখন ৫০০টি ল্যাব কাজ করছে। ১৫০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট করা হয়েছে। ১৩ হাজার বেড অক্সিজেন লাইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা ৫০ লাখ লোককে টেলিমেডিসিন সেবা দিয়েছি। ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি, ভ্যাকসিন চলমান।
[৬] তিনি বলেন, ভ্যাকসিন সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কিনছি। ভারতে করোনা অনেক বেড়ে যাওয়ার কারণে তারা দিতে পারছে না। চীন, রাশিয়া থেকে আনার ব্যবস্থা করছি, চুক্তি হয়েছে। চীন ৫ লাখ টিকা উপহার দিয়েছে। আরও ৬ লাখ আগামী ১২/১৩ তারিখে আসবে। বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে খুবই সফলতা দেখিয়েছে।
[৭] ভ্যাকসিন কিনছি, আরও অনেক কিনতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তির ভ্যাকসিনের জন্য তিন হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তাদের চিকিৎসার জন্য সরকারের ১৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আর যারা আইসিইউতে থাকছেন তাদের জন্য ব্যয় ৫০ হাজার টাকা।