মহিউদ্দিন আহমদ: আমার প্রতিনায়ক বইয়ের প্রধান চরিত্র সিরাজুল আলম খান। তিনি আমার গুরু। তাঁর সাক্ষাৎকারে অনেক কিছুই ওঠে এসেছে এ বইয়ে। ছয়দফা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ইত্তেফাক খুব তাচ্ছিল্যের সঙ্গে প্রথম পাতায় সিঙ্গেল কলামে নিউজটি ছেপেছিলো। তাঁর এই কথা বইয়ে আমি উল্লেখ করেছি।
তাসখন্দ চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলোর ভূমিকা কী হবে, এ নিয়ে ডাকা বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে যোগ দিতে শেখ মুজিব গিয়েছিলেন লাহোরে। বৈঠকের আগের দিন ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সাবজেক্ট কমিটির সভায় শেখ মুজিবের লিখিত প্রস্তাব (তখনও ছয়দফা নামকরণ হয়নি) উত্থাপনের অনুমতি না পেয়ে মুজিব ওই সম্মেলন থেকে ওয়াক আউট করে সাংবাদিকদের কাছে তাঁর প্রস্তাব তুলে ধরেন। তাঁর প্রস্তাবে ছয়টি ধারা ছিলো। লাহোরের উর্দু পত্রিকায় শেখের প্রস্তাবকে ‘ছে নোক্তা’ (মানে ছয়দফা) নামে শিরোনাম করলো। এ ব্যাপারে ঢাকার আওয়ামী লীগ নেতারা এবং সাংবাদিকরা তখনও অন্ধকারে।
শেখ মুজিব ঢাকায় ফিরলেন ১১ ফেব্রুয়ারি। ১২ ফেব্রুয়ারি ছয়দফা নিয়ে ইত্তেফাক প্রথম পাতায় লিড নিউজ করল, চার কলাম হেডিং আর তিন কলাম রিপোর্ট। সিরাজুল আলম খানের বক্তব্য শুনে আমি বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। তিনি এমনটা কেন বলেছিলেন, তাঁর ব্যাখ্যা তিনিই দিতে পারেন।
১৯৬৯-৭০ সালের দিকে ছাত্রলীগে একটা রটনা ছিল, ইত্তেফাক সম্পাদক মানিক মিয়া নাকি ছয়দফার বিরোধী ছিলেন এবং এ নিয়ে তিনি লিখেছেনও। আমি আজও বের করতে পারিনি, তিনি এটা কোথায় বলেছেন বা লিখেছেন। বললেই তো হবে না। রেফারেন্স চাই। আমরা অনেকেই অনেক ভুল, মিথ্যা এবং গুজব নিয়ে বসবাস করি। এটা কারও নেশা, কারও পেশা, কারও জন্য বিনোদন। এটা কি বাঙালি চরিত্রের বৈশিষ্ট? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :