শিরোনাম
◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম 

প্রকাশিত : ০৫ জুন, ২০২১, ১১:৪২ দুপুর
আপডেট : ০৫ জুন, ২০২১, ১১:৪২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সন্তানের চরিত্র গঠনে বাবা-মায়ের প্রতি আল্লাহর নির্দেশনা

ইসলামি ডেস্ক: প্রত্যেকটা মা-বাবাই সন্তানের ভালো চান। ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসবে।তাই সন্তানের উত্তম চরিত্র গঠনের পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে মাকে। তারপর বাবার। মা-বাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রতিটি সন্তান হবে আদর্শ চরিত্রবান।

এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘হে ইমানদাররা, তোমরা নিজেদের ও তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে বাঁচাও, যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর; যেখানে রয়েছেন কঠোর ফেরেশতাকুল, সৃষ্টিগতভাবে ফেরেশতাদের আল্লাহর অবাধ্যতার শক্তি দেওয়া হয়নি। সর্বদা তারা আল্লাহর হুকুম পালন করেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা (ফেরেশতারা) তা অমান্য করে না, যা আল্লাহ তাদের আদেশ করেন। তারা যা করতে আদিষ্ট হয়, তা-ই করে। ’ (সুরা: তাহরিম, আয়াত: ৬)

ইসলামী বিধান অনুযায়ী আমাদের পরিবার-পরিজনের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। একজন বাবা বা মা হিসেবে আমরা কি আমাদের প্রতিপালকের এ বিধান পালন করছি? যদি করে থাকি, তবে কিশোর গ্যাংয়ের মতো কালচার আমাদের দেশে গড়ে উঠছে কীভাবে?

ইন্টারনেট প্রযুক্তি আমাদের বিশ্ব সমাজ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করেছে। এর ফলে নানান রকম আচার-আচরণ এমন কী বাচনভঙ্গিও আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রচলন করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আমাদের কিশোর-কিশোরিদের মধ্যে পশ্চিমা জীবনধারার প্রতি এক ধরনের মোহ তৈরি করছে। ফলে পশ্চিমা জীবনধারার ভালো দিকগুলোর সঙ্গে সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের মতো ভয়ানক কালচারগুলোও আমাদের সমাজে জায়গা করে নিচ্ছে।

একসঙ্গে মাদক নেওয়া, নিজ সীমানা নির্ধারণ করে চাঁদাবাজি, অপর গ্যাংদের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক মারধর এসবই মূলত কিশোর গ্যাংগুলোর আচরণগত বৈশিষ্ট্য। এ কারণেই সুযোগসন্ধানীরা কিশোরদের দিয়ে অপরাধ করিয়ে নিজেদের ফায়দা লুটে নেয় এবং তাদের আরও অপরাধ করতে উৎসাহিত করে। তাই কিশোরদের সচেতনতা এবং নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টির জন্য বড়দের নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসা জরুরি। সমাজে যারা অপরাধে যুক্ত তাদের সুশিক্ষার ব্যবস্থা করে সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র শিশু-কিশোরদের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি। কোনো অবস্থাতেই যেন কিশোররা অপরাধে যুক্ত হতে না পারে সেজন্য সমাজে সংগঠন তৈরি করে কিশোর গ্যাংসহ সব অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, আর এ ব্যাপারে প্রত্যেককেই জবাবদিহি করতে হবে। ’ বুখারি। বাংলা নিউজ২ ৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়