বাশার নূরু: [২] বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ বুধবার দুপুরে এই আদেশ দিয়েছেন। ওই ঘটনায় হোস্টেল সুপার ও প্রহরীদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে যৌথ অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, কলেজের অধ্যক্ষ এর দায় এড়াতে পারেন না।
[৩] ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। স্বামীকে বেঁধে মারধর করে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করা হয় ওই গৃহবধূকে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে। এরপর ওইদিন রাতেই শাহপরাণ থানায় মামলা করেন নির্যাতিতার স্বামী। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
[৪] আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। ওই ঘটনায় একাধিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এর মধ্যে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটির ১৭৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন গতবছর ২০ অক্টোবর হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদনে কলেজের অধ্যক্ষ, দুইজন তত্বাবধায়ক নিরাপত্তা কর্মীদের দায়ী করা হয়।