মিনহাজুল আবেদীন: [২] ব্লগসাইটের নাম ঢাকা ট্রাভেল এজেন্সি। ভেতরে প্রবেশ করতেই যৌনতার হাতছানি, পর্যটনের চিহ্ন নেই। যৌনতার প্রতি আকর্ষণ দেখে দেড় বছর আগে এই ব্যবসার শুরু করেন নিরাপত্তারক্ষী আমিরুল ইসলাম ও তার সহযোগী দিনমজুর শহীদ ইসলাম।
[৩] জানা গেছে, ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখে ব্লগসাইট তৈরি করে আমির। বুকিং মানি দেয়ার পর খদ্দেরদের সঙ্গে নারীকণ্ঠে কথা বলে বিভিন্ন সার্ভিসের নামে টাকা হাতিয়ে নিতো শহীদ। গ্রাহককে কোনও সার্ভিস দেয়া হতো না।
[৪] গ্রেপ্তার দু’জনে জানায়, এই ফাঁদ পেতে প্রতিমাসে তাদের আয় হতো চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা।
[৫] মঙ্গলবার ডিবিসি টিভির এক প্রতিবেদনে ঢাকা মহানগর পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ (গুলশান) উপ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, তারা আসলে একেবারেই প্রতারক শ্রেণির লোক। মানসিকভাবে দেউলিয়া, নৈতিকভাবে দেউলিয়া বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে তারা।
৬] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালমা আক্তার বলেন, যাদের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে তারা থার্ডপার্টি। কিন্তু তারা এই ডিম্যান্ড সাপ্লাইয়ের কোথাও নেই। ফলে অনেকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে পারিবার ও সমাজ কার্যকর ভূমিকা পালন না করলে দিন দিন এই অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়বে। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :