ইমরুল শাহেদ: চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস এফডিসিতে এখন শুটিং করছেন সোলায়মান আলী লেবুর ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’ ছবির। অন্যদিকে উত্তরার একটি শুটিং হাউজে তপু খান পরিচালিত ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ ছবির শুটিং করছেন শাকিব খান ও বুবলি। শুটিংয়ের সময় লক্ষ্য করা গেল অপু বিশ্বাসের আচরণে অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। ইউনিটের লোকজনের সঙ্গে তার আচরণ স্বাভাবিক থাকলেও ইউনিটের বাইরের কারো সঙ্গে তেমন একটা কথা বলেন না।
তিনি বন্ধন বিশ্বাসের ‘ছায়াবৃক্ষ’ ছবিতে নিরবের বিপরীতে কাজ করছেন। প্রেম প্রীতির বন্ধন ছবিতে কাজ করছেন প্রায় নবাগত জয় চৌধুরীর বিপরীতে। কিন্তু দর্শকের দৃষ্টি সীমায় এখনো জাগরুক রয়েছে শাকিব-অপু জুটি, যা শাকিব-বুবলী জুটি অতিক্রম করতে পারেনি এখনো। প্রেম প্রীতির বন্ধন ছবির পরিচালক নিজেই এই ছবির প্রযোজক।
নায়িকা শাহনূর এই রিপোর্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই ছবিটি শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে। হোতাপাড়ার একটি ষ্টুডিওতে কয়েকদিন শুটিং হওয়ার পর ছবিটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তার আট বছর পর আবার সময়োযোগী করে নতুনভাবে ছবিটির কাজ শুরু হয়েছে। তবে এবার ছবিটি বড় বাজেট দিয়েই নির্মাণ করছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, ছবির ব্যবসা যখন সংকুচিত হয়ে আসছে, তখন ব্যয়বহুল ছবি নির্মাণ করার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এছাড়া ছবিটিতে পরিচিত মুখ বলতে অপু বিশ্বাস আর শাহনূরই আছেন।
শাকিব খান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর অপু বিশ্বাস নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে পারেননি। শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিচ্ছেদের পর যেসব ছবি আটকে গিয়েছিল, সেগুলোর কাজও ডামি ব্যবহার করে শেষ করতে হয়েছে। সুতরাং ছবিগুলোর ভাগ্যে যা ঘটার ঘটেছে। এখন অপু বিশ্বাসকে দুটি সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। একটি হলো সীমিত বাজার এবং আরেকটি হলো শাকিবকে বাদ দিয়ে নিজেকে ছবি টেনে নেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রমাণ করা। বর্তমানে বাজার কাটতি তারকা সংকটে অপুর টিকে থাকা চলচ্চিত্রশিল্পের স্বার্থেই প্রয়োজন। সেই চিন্তা-চেতনা দিয়েই অপুর নিজের আচরণকে একটা সরল রৈখিক বন্ধনে আনতে হবে। জটিলতা কেবল পরিস্থিতির অবনতিই ঘটায়।