শিরোনাম
◈ লটারিতে নির্ধারিত ৬৪ জেলার এসপি: সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের নতুন উদ্যোগ ◈ মোহাম্মদপুরে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, বাবা গুরুতর আহত ◈ জাতীয় অর্থনীতি ও কৌশলগত সম্পদে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু জনগণের নির্বাচিত সরকারের: তারেক রহমান ◈ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পর্কে যা বললেন আইনজীবী পান্না ◈ দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু বিপর্যয়ের সতর্কবার্তা: ৯০% বাংলাদেশি উচ্চ ঝুঁকিতে ◈ নতুন আইনে বাতিল হচ্ছে অসংখ্য দলিল, রয়েছে জেল ও অর্থদণ্ড ◈ পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল: পাসপোর্টের নতুন নিয়মে চমক ◈ আনন্দ বেদনার নারী কাবাডি বিশ্বকাপের পর্দা নাম‌লো ◈ মব ভাইরাসের তাণ্ডবে অতিষ্ট দেশ: ইসলামী বক্তা তাহেরী (ভিডিও) ◈ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নতুন দিগন্ত: অ্যামাজন-ইবে হয়ে রপ্তানির অনুমতি দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত : ০১ জুন, ২০২১, ০১:১২ দুপুর
আপডেট : ০১ জুন, ২০২১, ০২:২১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] রাজধানীতে নারী চিকিৎসককে হত্যার পর আগুন নাটক, এখনো মামলা হয়নি

মাসুদ আলম : [২] কলাবাগান থানা পুলিশ বলছে, মামলার সব প্রক্রিয়া শেষ হলেও নিহত চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির পরিবারের কেউ এখনও মামলা করতে আসেননি। তবে লিপি হত্যার শিকার হয়েছেন ধরেই তদন্ত করছে রমনা বিভাগ পুলিশ ও রমনা গোয়েন্দা পুলিশ। নিহতের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্য থেকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ৬-৭ জনকে হেফাজতে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। এ ছাড়া বেশ কয়েকজনকে নগরদারিতে রাখা হয়েছে।

[৩] সোমবার কলাবাগানের একটি বাসা থেকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির (৪৭) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাক শ্বাসনালী কেটে হত্যা করা হয়। এছাড়া তার পিঠে অস্ত্রের দুটি চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে হত্যা পর বিছানার তোশকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে দাহ্য পদার্থ না থাকায় আগুন তেমন ছড়াতে পারেনি। তার শরীরের কিছু অংশ দগ্ধ হয়। রোববার মধ্যরাতে হত্যাকাÐটি সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।

[৪] ডিবি পুলিশ জানায়, লিপির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। ফ্ল্যাটের দুটি রুম অন্যদের সাবলেট দেন। সকালে সাবলেট থাকা শিক্ষার্থী ও মডেল কানিজ ফাতেমা হাঁটতে বের হয়েছিল। হেঁটে ঘরে ফিরে দেখেন চিকিৎসকের রুম বন্ধ। রুমের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরে তিনি দারোয়ানকে ডেকে রুমের দরজার লক খুলে দেখতে পান ওই চিকিৎসক ফ্লোরে পড়ে আছেন। সবাই ভেবেছিলেন চিকিৎসক আগুনে পুড়েছেন।

[৪] তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় কানিজ, বাড়ির দারোয়ান রমজান, কানিজের বন্ধু ও কাজের মেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বনিবনা ছিল না তার। তাই তিনি একাই থাকতেন। এমনি ওই বাসায় সিসিটিভিও ছিলো না। তবে ফ্ল্যাটের আরেক নারী ঈদে গ্রামের বাড়িতে গেল ঢাকায় ফিরেনি। ওই ফ্ল্যাটে বিভিন্ন লোকের যাতায়াত ছিলো।

[৫] লিপির মামা হারুন অর রশিদ মৃধা বলেন, তার শ্বাসনালী কেটে ফেলা হয়। হত্যার বিষয়টিকে অন্যদিকে ডাইভার্ট করার জন্য আগুনের ঘটনা সাজানো হয়েছে। লিপির মায়ের বাসা পাশেই। লিপির প্রথম স্বামী চিকিৎসক ছিলেন। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্বামী আজাদ ব্যাংকের চাকরি করতেন। আগের স্বামীর ঘরে একটি ছেলে এবং দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে একটি মেয়ে রয়েছে। মেয়েকে নিয়ে এই বাসাতে থাকতেন লিপি। আর ছেলে নানীর সঙ্গে থাকতো। ছেলেটি কানাডা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আর মেয়ের কলাবাগানের একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে।

[৬] লিপির স্বামী বলেন, খুনিরা হত্যার মোটিভ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আগুন লাগিয়ে থাকতে পারে। লিপি তার বৃদ্ধা মাকে দেখভালের সুবিধার্থে কলাবাগানের ওই বাসায় থাকতেন।

[৭] বাড়ির মালিক মাহবুব ইসলাম বলেন, সাবলেট দেয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন না।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়