এস,এম রিয়াজ: উপজেলার আতরখালী গ্রামে রোববার বিকেলে বিদ্যুৎ স্পর্শে মো.রবিউল ইসলাম হাওলাদার (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের দিনমজুর মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে। শিশুটি সিংহখালী স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণিতে পড়া লেখা করত।
নিহতের মামা মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দিনমজুর বাবার সংসারের হাল ধরতে ইকড়ি বাজারের শরীফ ডেকরেটরে শ্রমিকের কাজ নেয় রবিউল। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার বিকেলে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ইকড়ি-আতরখালী সড়ক সংলগ্ন মিলন হাওলাদারের বাড়ির সামনে নির্মানাধীন গার্ডার ব্রীজের কাছ থেকে যাওয়ার সময় শিশুটি বিদ্যুৎ স্পর্শে হয়ে ঘটনা স্থলেই মারা যায় । স্থানীয় সূত্রে জানা যায় জিয়াউল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই গার্ডার ব্রীজটির কাজ করছে । ব্রীজের কাজের জন্য শ্রমিকরা অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক সংযোগ নেয় এবং বিদ্যুতের একটি তার মাটিতে পড়ে থাকলে সেখান থেকে শিশুটি বিদ্যুৎস্পর্শ হয় বলে স্থানীয়দের দাবী। খবর পেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পল্লী বিদ্যুতের আবাসিক ইঞ্জিনিয়ার সচিন্দ্র নাথ রাহা জানান, নিয়মানুযায়ী কোন এলাকায় কাজ চললে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করবে এবং বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের একটি ডকুমেন্ট প্রদান করবে। কিন্তুু ওই ঠিকাদার আমাদেরকে অবহিত করেননি।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘জিয়াউল এন্টারপ্রাইজ পক্ষ থেকে বলা হয় তারা বিদ্যুৎ বিভাগকে মৌখিক ভাবে অবহিত করা হয়েছিল এবং কাজ চলাকালিন বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। প্রাথমিক কাজ শেষ হওয়ার পরে বিদ্যুৎ লাইন সচল করা হয়।
এদিকে রবিউলের মৃত্যুতে নির্বাক অবস্থায় বারান্দার মেঝেতে বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন মা হেলেনা বেগম। বাবা শহিদ ও খালার আহাজারিতে আকাশ বাসাত ভাড়ি হয়ে ওঠে।
ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, ইকড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,মেম্বার এবং নিহত শিশুটির স্বজনদের অনুরোধে ময়না তদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :