সনত চক্রবর্ত্তী: [২] ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলা পরিষদের সামনে কালভার্টটি মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রায় দেড়যুগ আগের সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি সরু কালভার্টটি দিয়ে বড় ধরনের যনবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। এতে করে বড় কোনো যানবাহন বা গাড়ি পার হতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অন্য যানবাহন বা গাড়িকে।
[৩] স্থানীয়রা জানান, উপজেলা পরিষদের সামনে পুরোনো কালভার্টটি আজ থেকে দেড়যুগ আগের কিন্তু বর্তমানে সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া আর কালের বিবর্তনে এটি এখন অপ্রয়োজনীয়। অনেক পুরোনো হওয়ায় এর রেলিং ভেঙে গেছে। সরু হওয়ায় ঠিকমতো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সরুর কারণে কালভার্টের দুই পাশের জায়গাও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অকেজো প্রায়ই এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।সালথা উপজেলা পরিষদ, থানা ভবন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, পেট্রেল পাম্পসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কারণে এই এলাকায় এমনিতেই লোক সমাগম, যানবাহনের চাপ বেশি থাকে। সেদিক দিয়েও গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই কালভার্ট।
[৪] পথচারী জুয়েল বলেন, অপ্রয়োজনীয় কালভার্টটি ভেঙে রাস্তা নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। একটা গাড়ি পার হলে আরেকটি গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে যানযট তৈরি হচ্ছে। এতে কালভার্ট ব্যবহারে ভোগান্তি বাড়ছে।
[৫] স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, আকাশ সাহাসহ অনেকেই জানান, কালভার্টটি এক সময় দরকার ছিলো কিন্তু এখন কোনো কাজেই আসছে না। উপকার থেকে অপকারই বেশি হচ্ছে।
[৬] এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হাসিব সরকার বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[৭] ফরিদপুর সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনদান ফারহান বলেন, বিষয়টি আমাদের কেউ অবহিত করেননি। তারপরও জনস্বার্থে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি