শিমুল মাহমুদ: [২] শুক্রবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, গত রাত থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন জ্বরে ভুগছেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিচ্ছেন। এই নতুন উপসর্গ কেন দেখা দিল, তা পর্যালোচনা করতে শুক্রবার দুপুরে চিকিৎসকরা বৈঠকে বসবেন।
[৩] হাসপাতাল সুত্র জানায়, দুপুরে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা শেষে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা আবারো নতুন কিছু পরীক্ষা যুক্ত করেছেন। সঙ্গে ঔষধপত্রেরও কিছু পরিবর্তন এনেছেন।
[৪] তবে এ বিষয়ে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে রাজি নন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। সুত্র বলছে, বিএনপির চেয়ারপারসনের ভুয়া করোনা রিপোর্টসহ তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কয়েকটি মিডিয়ায় ভুল বার্তা প্রকাশ হওয়ার এ ধরণের সিধান্ত নিয়েছে দল ও তার পরিবার।
[৫] শুক্রবার বিকেলে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মো. আল মামুনের কাছে মেডিকেল বোর্ডের সিধান্ত জানতে চাইলে, বেগম জিয়ার বিষয়ে যা বলার সব মহাসচিব বলবেন। আমরা কেউ মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলবো না। এটা একটা নীতির প্রশ্ন, কমিটমেন্টের প্রশ্ন্ন, গুলি করলেও কথা বের হবে না।
[৬] আরেক ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে গত দুই সপ্তাহ যাবত বিভিন্ন সময় ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করছেন না।
[৭] গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। এরপর ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ছয়দিন পরে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে কোরোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার প্রায় একমাস অতিবাহিত হলে প্রথমে দুই থেকে তিনটি সংবাদ সম্মেলন ছাড়া মিডিয়ার সামনে আসতে দেখা যায়নি তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের।
[৮] এরআগে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম জিয়া এখন ভালো আছেন। মেডিকেল প্যারামিটারগুলো ভালো আছে। করোনা নেগেটিভ হওয়ার প্রায় ২০ দিন পরে হঠাৎ কেন তার জ্বরের উপসর্গ দেখা দিয়েছে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তা পর্যবেক্ষণ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :