শিমুল মাহমুদ, সারোয়ার জাহান: [২] যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি করা করোনারভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই টিকার ট্রেড-নাম ‘কমিরন্যাটি’।
[৩] বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ নিয়ে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের মোট চারটি টিকা অনুমোদন পেল। এর আগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুটরিক-ভি এবং চীনের সিনোফার্মা।
[৪] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশনের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর আবেদন করে। পরদিন (২৫ মে) অধিদফতর ভ্যাকসিনটির ডোসিয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পার্ট, সিএমসি পার্ট এবং রেগুলেটরি স্ট্যাটাস) মূল্যায়ন করে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির মতামতের জন্য উপস্থাপন করে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ফাইজার-বায়োএনটেকের এই টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়।
[৫] সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর জানায়, ভ্যাকসিনটির লোকাল লিগ্যাল অর্গানাইজেশন হিসেবে থাকছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অধিদফতর জানায়, ১২ বছরের বেশি বয়সের মানুষের জন্য এই টিকা ব্যবহারযোগ্য। তবে বাংলাদেশে সরকারের ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে প্রদান করা হবে। ফাইজরের টিকার রয়েছে দুই ডোজ। প্রথম ডোজের তিন থেকে চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
[৬] ফাইজারের এই টিকা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হবে হবে। তবে টিকাটি পাঁচ দিন ২ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকবে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
আপনার মতামত লিখুন :