মিনহাজুল আবেদীন: [২] ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কিছুটা কমতে শুরু করলেও দেশটিতে কোভিড থেকে সেরে ওঠাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাস জনিত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে।
[৩] বুধবার বিবিসি বাংলায় উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের হার্ষ ইএনটি হাসপাতালের প্রধান ডা. বিপিএস ত্যাগী বলেন, ৫৯ বছর বয়সী একজন রোগীর দেহে হলুদ ফাঙ্গাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ওই একই রোগীর দেহে কালো ও সাদা ফাঙ্গাস পাওয়া যায়। ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তার অক্সিজেন প্রয়োজন হয়নি। শুধু ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে তাকে স্টেরয়েড দেয়া হয়েছিলো।
[৪] দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের পরিচালক রনদীপ গুলেরিয়া বলেন, ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বোঝাতে কালো, সাদা, হলুদ বিভিন্ন নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে এটি সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ফাঙ্গাসটি একেক অঙ্গে একেক রকম রঙয়ের হয়ে প্রতীয়মান হতে পারে, কিন্তু এটি আসলে একই জাতের ফাঙ্গাস।
[৫] তিনি বলেন, এই সংক্রমণ থেকে রক্ষার্থে হাত ধোয়া, অক্সিজেন টিউব পরিষ্কার রাখা, অক্সিজেন সাপোর্টের জন্য ব্যবহৃত পানি জীবাণুমুক্ত করার দিকে নজর দেয়া উচিত।
[৬] গুরুগ্রামের ফর্টিস মেমোরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান পরিচালক ডাক্তার রাহুল ভার্গব বলেন, মিউকর গ্রæপের ফাঙ্গাস ‘রাইজোপাস’ শরীরের কোষ মেরে ফেলে এবং মৃত কোষগুলোর কালো একটি দাগ রেখে যায়। এই ফাঙ্গাস শরীরে ক্যানডিডা দেখতে অনেকটা দইয়ের মতো দেখায়। তাই এর নাম সাদা ফাঙ্গাস।
[৭] দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালের ইন্টার্নাল মেডিসিন বিভাগের পরিচালক ডা. রোমেল টিক্কু বলেন, এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে চোখ বা চোয়াল অপসারণেরও প্রয়োজন হতে পারে। এটি ফুসফুস বা পরিপাকতন্ত্র আক্রমণ করলে তা শনাক্ত করা কঠিন। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :