স্পোর্টস ডেস্ক : রোনালদো কি তাহলে ছেড়েই দিচ্ছেন য়্যুভেন্তাস? ইতালিয়ান ক্লাবটির হয়ে মৌসুম শেষ করে, সামাজিক মাধ্যমে রোনালদো দিয়েছেন আবেগঘন এক পোস্ট। যে লক্ষ্য নিয়ে তুরিনে এসেছিলেন, তা পূরণ হয়েছে বলে জানান ৩৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার। দল-বদল নিয়ে সরাসরি কিছু জানাননি। তবে গুঞ্জন য়্যুভেন্তাসের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার এক মৌসুম আগেই নতুন কোনো ঠিকানায় দেখা যাবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। সময়টিভি
ইংল্যান্ড-স্পেন জয় করে নতুন অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজ ৩৩ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ৯ বছরের পাট চুকিয়ে ২০১৮ সালে য়্যুভেন্তাসে যোগ দেন সিআর সেভেন।
ম্যানচেস্টার-মাদ্রিদে অজস্র রুপকথার জন্ম দেয়া রোনালদো, তুরিনেও একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন। দ্রুততম সময়ে শত গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা।
যদিও সদ্য সমাপ্ত মৌসুমটা খুব একটা ভালো যায়নি য়্যুভেন্তাসের। অন্তত নিন্দুকরা এমনটাই বলছে। ইতালিয়ান সিরি আ’তে য়্যুভেন্তাসের টানা ৯ মৌসুমের আধিপত্য শেষ করে শিরোপা জিতেছে ইন্টার মিলান। লিগের শেষ দিনের জয়ে ৪র্থ স্থানের সঙ্গে নিশ্চিত হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। মৌসুমে শিরোপা একটাই জিতেছে পিরলোর দল, সেটা কোপা ইতালিয়া।
তবে সেই শিরোপা জয় দিয়েই অনন্য এক বৃত্ত পূরণ করেছেন রোনালদো। এর আগে ইংল্যান্ড ও স্পেনে ঘরোয়া লিগ, কাপ ও সুপার কাপ জিতেছিলেন। এবার সেই কীর্তি গড়েছেন ইতালিতেও। একই সঙ্গে তিন লিগের ভিন্ন তিন ক্লাবের হয়ে করেছেন ১০০ গোল। বিশ্বের ইতিহাসে রোনালদোই একমাত্র ফুটবলার যার আছে এই অর্জনগুলো।
সামনেই পর্তুগালের হয়ে ইউরো শিরোপা ডিফেন্ড করতে নামবেন সিআর সেভেন। তার আগে সামাজিক মাধ্যমে নিজের অর্জন নিয়ে এক পোস্ট করেছেন ক্রিস্টিয়ানো। যেখানে য়্যুভেন্তাসে যোগ দিয়ে নিজের লক্ষ্য পূরণের কথা জানান এই ফুটবলার। যেটাকেই ক্লাব পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
রোনালদো বলেন, আমি য়্যুভেন্তাসে প্রথমদিন যে লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করেছিলাম এই অর্জনগুলোর মধ্য দিয়ে সেগুলো পূরণ করেছি। এ সব অর্জনে আমি গর্বিত। তিনটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে শত গোল করা এক অন্যরকম অনুভূতি। আমার এ যাত্রায় যারা সমর্থন করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
এমন আবেগঘন পোস্টের পর অনেকেই ধরে নিয়েছেন য়্যুভেন্তাসে শেষ হচ্ছে রোনালদো অধ্যায়। ক’দিন আগে তার ক্যারিয়ারের প্রথম ক্লাব স্পোর্টিং লিসবন পর্তুগিজ লিগের শিরোপা জেতায় সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে তাদের অভিনন্দন জানান ক্রিস্টিয়ানো। রোনালদোর মাও চাইছেন ছেলে ফিরুক শৈশবের ক্লাবে। শেষ পর্যন্ত রোনালদো ঠিকানা বদল করছেন কি না তার জন্য হয়তো অপেক্ষা করতে হবে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হওয়া পর্যন্ত।