ডেস্ক রিপোর্ট : ভ্যাট পরিশোধ ও ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়াসহ সরাসরি ভ্যাট সংক্রান্ত সেবা পেতে বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা ব্যবসা চিহ্নিতকরণ নম্বর (বিআইএন) নিয়েছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল।
এ বিষয়ে ভ্যাট অনলাইন প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানকে বিআইএন নিবন্ধিত করা হচ্ছে। গুগলের আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল অনলাইন ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর দেওয়া হয়েছে।
এত দিন ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ও মাইক্রোসফটের মতো আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থা বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও এনবিআর কঠোর অবস্থা নেওয়ায় এসব কম্পানি পর্যায়ক্রমে ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করছে।
এনবিআর থেকে এসব কম্পানিকে বাংলাদেশে অফিস স্থাপন করতে এবং ভ্যাট এজেন্ট নিয়োগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই এজেন্টরা ব্যবসা পরিচালনা বাবদ বাংলাদেশ সরকারকে রাজস্ব দেবে। অর্থাৎ বাংলাদেশে স্থায়ী কোনো অফিস না থাকাসহ আরো কিছু জটিলতা রয়েছে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে স্থায়ীভাবে সমাধান করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য ভ্যাট দেওয়ার ক্ষেত্রে ভ্যাট এজেন্ট নিয়োগের বাধ্যতামূলক বিধানটি আপাতত থাকছে। সমাধান হলে এজেন্ট নিয়োগের বিষয়টি বিকল্প সুযোগ হিসেবে বহাল থাকবে। বর্তমানে ভ্যাট আইন অনুসারে, ভ্যাট পরিশোধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ভ্যাট এজেন্টরা দায়বদ্ধ।
ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন পেতে এবং ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য সংস্থাগুলো ২০১৯ সাল থেকে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। তাই ভ্যাট আইন অনুসারে সরাসরি এই সেবা পাওয়ার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে দাবি ছিল। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ভ্যাটের সেবা পেতে ভ্যাট এজেন্ট নিয়োগ করতে হয়ছিল।
প্রসঙ্গত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ আইন অনুযায়ী ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানকে মূসক নিবন্ধন নিতে হবে এবং তাদের বাংলাদেশে অফিস স্থাপন, অথবা মূসক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে।