রাজু আহমেদ : [২] 'এ জীবন আর ভালো লাগে না, চােখের সামনে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে বাবা আমার এখন মৃত্যুদােয়ারে! পিতা হিসেবে এর চেয়ে যন্ত্রণা আর কি হতে পারে? বৃদ্ধ বয়সে উপার্জনও করতে পারি না।
[৩] খেয়ে না খেয়ে যায় দিন চিকিৎসা করাইমু কি দিয়া? জমিজমা থাকলে বিক্রি করে সন্তানের চিকিৎসা করাইতাম। আক্ষেপের সুরে অসহায় এই পিতার উক্তি- “কেউ যদি রক্ত কিনতো রক্ত বিক্রি করতাম সন্তানের চিকিৎসার জন্য'।
[৪] মঙ্গলবার বিকেলে (২৫ মে) মোবাইল ফােনে এসব কথা বলেন ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত সাখাওয়াত হোসেনের (২৬) অসহায় বৃদ্ধ পিতা আব্দুল মালেক। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুর (পুরানহাটি) গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
[৫] জানা গেছে, গতবছরের এমন সময় শাখাওয়াতের মাথায় ব্রেইন টিউমার হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপারেশন শেষে দীর্ঘ দুই মাস ৬ দিন হাসপাতালে থাকার পর বাড়ি ফিরলেও অারােগ্যলাভ হয়নি আজও। বরং অপারেশনের স্হানে পয়জন জমে দিন দিন সমস্যা আরও প্রকট হওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে পুরাে শরীর শক্তিহীন (অবশ) হয়ে আসছে। ডান চােখ দিয়ে যতসামান্য দেখতে পেলেও বাম চােখটি অচল হওয়ার পথে।
[৬] সুলেমানপুর গ্রামের ইউ,পি সদস্য সিরাজুল হক, হাবিবুর রহমান, স্হানীয় সংবাদকর্মী তানভীর আহমদসহ গ্রামবাসী জানিয়েছেন, সন্তানের চিকিৎসা দূরের কথা, দারিদ্র্যের কষাঁঘাতে জর্জরিত অসহায় এই পরিবারে দু'বেলা আহার যােগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীর সহায়তায় বিগতদিনে অপারেশন হয়েছিল তার। প্রধানমন্ত্রীসহ হৃদয়বান ব্যক্তিরা এগিয়ে অাসলে হয়তো তাকে বাঁচানাে সম্ভব। সাখাওয়াতকে বাঁচাতে হলে উন্নত চিকিৎসাসেবা লাগবে। এতে লাখ টাকা প্রয়ােজন বলে ধারণা দিয়েছেন একাধিক চিকিৎসক।
[৭] সন্তানের জীবন বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী-দেশ ও প্রবাসের হৃদয়বানদের সহায়তা চেয়েছেন অসহায় এই পিতা